ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের মাঝে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,ড. ইউনূস দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। দুনিয়াজোড়া তার সুনাম। তিনি দেশকে একটি কাঙ্ক্ষিত মানে দেখতে চান। এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরও চাওয়া ছিলো। আমি ড. ইউনূসের মাঝে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশ্ববাসী দেখেছে আমরা বিপ্লব পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী দিনেও আমরা দেশের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, , আর ৫ মাস পর দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই সরকার গঠন করবে, তারাও এভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে আশা করি।

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের একটি প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়, যেখানে তিনি যিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

আশিক চৌধুরী প্রবাসীদের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের পদ্ধতি বর্ণনা করেন।

এ আয়োজনে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এটি সঞ্চালনা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলসহ তিনজন এতে অংশ নেন।

প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য-সচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান অংশ নেন।

কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করেছে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা

ড. ইউনূসের মাঝে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই

আপডেট সময় ১১:৫৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,ড. ইউনূস দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। দুনিয়াজোড়া তার সুনাম। তিনি দেশকে একটি কাঙ্ক্ষিত মানে দেখতে চান। এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরও চাওয়া ছিলো। আমি ড. ইউনূসের মাঝে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশ্ববাসী দেখেছে আমরা বিপ্লব পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী দিনেও আমরা দেশের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, , আর ৫ মাস পর দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই সরকার গঠন করবে, তারাও এভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে আশা করি।

নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় শনিবার ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফররত বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের একটি প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়, যেখানে তিনি যিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

আশিক চৌধুরী প্রবাসীদের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের পদ্ধতি বর্ণনা করেন।

এ আয়োজনে ‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ শীর্ষক একটি ইন্টারেক্টিভ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এটি সঞ্চালনা করেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলসহ তিনজন এতে অংশ নেন।

প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য-সচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান অংশ নেন।