ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নোবিপ্রবিতে এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

নোয়াখালী সুধারাম থানাধীন মাইজদী রশিদ কলোনি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪) নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রীর গলায় ফাঁস অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল আনুমানিক তিনটা থেকে রাত আটটার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। সহপাঠীদের সঙ্গে মাইজদী উত্তর ফকিরপুর রশিদ কলোনিতে সাজেদা সুলতানার ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন। নিহত শিক্ষার্থী নোবিপ্রবির ফলিত গণিত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজার ছুটিতে সহপাঠীরা বাড়িতে চলে যাওয়ায় ঐ বাসায় একাই ছিলেন নিহত শিক্ষার্থী। বিকালের দিকে তার পরিবার তাকে ফোনে না পেয়ে এক আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের বাসায় আসেন। তারা এসে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া-শব্দ না পেলে সন্দেহ তৈরি হয়। এসময় দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে মারিয়া এর দেহ রুমের জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে ফোনে বাসায় যাওয়ার কথা বললে সে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাবে বলে জানায়। বিকাল থেকে বারবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় দুশ্চিন্তায় পড়েন তার পরিবার। এসময় বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে রাত আনুমানিক ০৮.৪৫ টার দিকে বাসায় পাঠানো হয়। তারা এসে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।

এদিকে নিহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিকাল তিনটার দিকে ভিডিওকলে কথা হয় তার এক ছেলে বন্ধুর সাথে। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ঐ নাম্বার থেকে কল দেওয়া হলেও তা আর রিসিভ হয়নি। নিহত ঐ শিক্ষার্থীর মোবাইল চেক করে এমন তথ্য পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্যেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মোবাইলে ফেসবুক লাইভ অপশন চালু ছিলো কিন্তু সেটি সঠিকভাবে না হওয়ায় শুরু হয়নি। দরজা ভেঙে প্রবেশ করা বেশ কয়েকজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানসিক অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার চিকিৎসাও গ্রহণ করে বলে জানায় তার পরিবার।

সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, আমরা এসে ঐ শিক্ষার্থীকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জানালার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আত্মহত্যা করেছে বাকিটা ময়নাতদন্ত করে বুঝা যাবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কোন অভিযোগ দায়ের না করেই লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে যাওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দাবি আদায়ে কাউকে রাস্তায় নামতে হবে না -জামায়াত আমির

নোবিপ্রবিতে এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০১:০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী সুধারাম থানাধীন মাইজদী রশিদ কলোনি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪) নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রীর গলায় ফাঁস অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল আনুমানিক তিনটা থেকে রাত আটটার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। সহপাঠীদের সঙ্গে মাইজদী উত্তর ফকিরপুর রশিদ কলোনিতে সাজেদা সুলতানার ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন। নিহত শিক্ষার্থী নোবিপ্রবির ফলিত গণিত বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ও চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজার ছুটিতে সহপাঠীরা বাড়িতে চলে যাওয়ায় ঐ বাসায় একাই ছিলেন নিহত শিক্ষার্থী। বিকালের দিকে তার পরিবার তাকে ফোনে না পেয়ে এক আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের বাসায় আসেন। তারা এসে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া-শব্দ না পেলে সন্দেহ তৈরি হয়। এসময় দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে মারিয়া এর দেহ রুমের জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে ফোনে বাসায় যাওয়ার কথা বললে সে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাবে বলে জানায়। বিকাল থেকে বারবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় দুশ্চিন্তায় পড়েন তার পরিবার। এসময় বেশ কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে রাত আনুমানিক ০৮.৪৫ টার দিকে বাসায় পাঠানো হয়। তারা এসে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।

এদিকে নিহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিকাল তিনটার দিকে ভিডিওকলে কথা হয় তার এক ছেলে বন্ধুর সাথে। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ঐ নাম্বার থেকে কল দেওয়া হলেও তা আর রিসিভ হয়নি। নিহত ঐ শিক্ষার্থীর মোবাইল চেক করে এমন তথ্য পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্যেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। মোবাইলে ফেসবুক লাইভ অপশন চালু ছিলো কিন্তু সেটি সঠিকভাবে না হওয়ায় শুরু হয়নি। দরজা ভেঙে প্রবেশ করা বেশ কয়েকজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানসিক অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েকবার চিকিৎসাও গ্রহণ করে বলে জানায় তার পরিবার।

সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, আমরা এসে ঐ শিক্ষার্থীকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জানালার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আত্মহত্যা করেছে বাকিটা ময়নাতদন্ত করে বুঝা যাবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কোন অভিযোগ দায়ের না করেই লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে যাওয়া হয়েছে।