ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জামায়াতে যোগ দিলেন এবি পার্টি প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক থেকে পদত্যাগ করে জামায়াতে যোগ দিলেন সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি। শুক্রবার (২৬) রাতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পোস্টে সোলায়মান চৌধুরী লিখেছেন, আমি ১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি নবম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করি। এসএসসি পরীক্ষার পর সাথী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকাকালীন ১৯৬৭ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের রোকনিয়াতের শপথ গ্রহণ করি।

তিনি লিখেছেন, কিছু দিন পর অভাব অনটনে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে এসে ১৯৬৮ সালে ভোলৈন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। কিছু দিন পর লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। উচ্চমাধ্যমিক প্রাইভেট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করাই। সংগঠনের সিদ্ধান্তে লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট,লালমাই চৌদ্দগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি কাজ শুরু করি। বাইশগাঁও গ্রাম নিবাসী শহীদ মাওলানা নুরুল হুদা সাহেবকে মুরুব্বি হিসেবে পাই। বাতাচো নিবাসী মাওলানা আহমদ উল্লাহ সাহেব মাঝে মাঝে কুমিল্লা থেকে এসে আমাদের কাজের খবর নিতেন। কিছু দিনের মধ্যেই বানঘরের মাওলানা আব্দুল গণি এবং অধ্যাপক সোলায়মান সাহেবকে পাই।

তিনি আরও লিখেছেন, ১৯৭০ সালের মধ্যে আমাদের জনশক্তি প্রায় ৪০ জনে উন্নীত হয় এই বিশাল এলাকাজুড়ে। শুরু হয় ইসলাম বিরোধী শক্তির সঙ্গে লড়াই। তার অংশ হিসেবে এই এলাকায় ইসলামী আন্দোলন চিরতরে খতম করে দেওয়ার জন্য ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে লক্ষণপুর বাজারে হিংস্র হায়েনার দল আমাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। আমরা অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে অনেকদিন চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমাকে লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এবি পার্টি সাবেক সচিব লিখেন, ১৯৭১ সালে আমি চট্টগ্রাম চলে যাই। কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। ১৯৭২ সালে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করি। গোপনে চলতে থাকে ইসলামী আন্দোলনের কাজ। ১৯৭২সালে আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আমার ভাই আবদুর রব সাহেবকে (পরবর্তী কুমিল্লা জেলা আমির) শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করি। চলতে থাকে গোপনে ইসলামী আন্দোলন। ১৯৭৫ সালে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে বি এ পাস করি। ছাত্র জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

তিনি আরও লিখেছেন, ১৯৭৫ অক্টোবর মাসে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করি। ১৯৭৬ জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে রোকনিয়াতের শপথ গ্রহণ করি। ওই বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হয়ে ইসলামী আন্দোলনের কাজ করতে থাকি এবং বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করি। ২০০৭ সালে সরকারি চাকরি হতে অবসর নিয়ে পুনরায় জামায়াতে যোগদান করি। ২০১৯ সালে পদত্যাগ করে আমার বাংলাদেশ পার্টি গঠন করি।

পরিশেষে সোলায়মান চৌধুরী লিখেন, সদ্য এবি পার্টি ত্যাগ করেছি। আবার আল্লাহর নাম নিয়ে জামায়াতে এলাম। আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন।

ট্যাগস :

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দাবি আদায়ে কাউকে রাস্তায় নামতে হবে না -জামায়াত আমির

জামায়াতে যোগ দিলেন এবি পার্টি প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী

আপডেট সময় ১১:২৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক থেকে পদত্যাগ করে জামায়াতে যোগ দিলেন সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি। শুক্রবার (২৬) রাতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পোস্টে সোলায়মান চৌধুরী লিখেছেন, আমি ১৯৬৪ সালের মাঝামাঝি নবম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করি। এসএসসি পরীক্ষার পর সাথী হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকাকালীন ১৯৬৭ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের রোকনিয়াতের শপথ গ্রহণ করি।

তিনি লিখেছেন, কিছু দিন পর অভাব অনটনে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িতে এসে ১৯৬৮ সালে ভোলৈন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। কিছু দিন পর লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। উচ্চমাধ্যমিক প্রাইভেট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করাই। সংগঠনের সিদ্ধান্তে লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট,লালমাই চৌদ্দগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি কাজ শুরু করি। বাইশগাঁও গ্রাম নিবাসী শহীদ মাওলানা নুরুল হুদা সাহেবকে মুরুব্বি হিসেবে পাই। বাতাচো নিবাসী মাওলানা আহমদ উল্লাহ সাহেব মাঝে মাঝে কুমিল্লা থেকে এসে আমাদের কাজের খবর নিতেন। কিছু দিনের মধ্যেই বানঘরের মাওলানা আব্দুল গণি এবং অধ্যাপক সোলায়মান সাহেবকে পাই।

তিনি আরও লিখেছেন, ১৯৭০ সালের মধ্যে আমাদের জনশক্তি প্রায় ৪০ জনে উন্নীত হয় এই বিশাল এলাকাজুড়ে। শুরু হয় ইসলাম বিরোধী শক্তির সঙ্গে লড়াই। তার অংশ হিসেবে এই এলাকায় ইসলামী আন্দোলন চিরতরে খতম করে দেওয়ার জন্য ১৯৭০ সালের আগস্ট মাসে লক্ষণপুর বাজারে হিংস্র হায়েনার দল আমাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। আমরা অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে অনেকদিন চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমাকে লক্ষণপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এবি পার্টি সাবেক সচিব লিখেন, ১৯৭১ সালে আমি চট্টগ্রাম চলে যাই। কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পাই। ১৯৭২ সালে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করি। গোপনে চলতে থাকে ইসলামী আন্দোলনের কাজ। ১৯৭২সালে আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আমার ভাই আবদুর রব সাহেবকে (পরবর্তী কুমিল্লা জেলা আমির) শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করি। চলতে থাকে গোপনে ইসলামী আন্দোলন। ১৯৭৫ সালে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে বি এ পাস করি। ছাত্র জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

তিনি আরও লিখেছেন, ১৯৭৫ অক্টোবর মাসে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করি। ১৯৭৬ জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে রোকনিয়াতের শপথ গ্রহণ করি। ওই বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হয়ে ইসলামী আন্দোলনের কাজ করতে থাকি এবং বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করি। ২০০৭ সালে সরকারি চাকরি হতে অবসর নিয়ে পুনরায় জামায়াতে যোগদান করি। ২০১৯ সালে পদত্যাগ করে আমার বাংলাদেশ পার্টি গঠন করি।

পরিশেষে সোলায়মান চৌধুরী লিখেন, সদ্য এবি পার্টি ত্যাগ করেছি। আবার আল্লাহর নাম নিয়ে জামায়াতে এলাম। আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন।