কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় কুমারখালী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ছাড়া অন্য কোনো নির্বাচন হবে না।” এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের ওলামা সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মোঃ জুলফিকার আলী, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য কামারুজ্জামান মিয়া, কুমারখালী উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আফজাল হোসাইন, কুমারখালী উপজেলা পরিষদের জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা শামসুদ্দিন আহমেদ প্রমূখ সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন দায়িত্বশীলবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে তাছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বেই সংস্কার করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। পাশাপাশি দ্রুত জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের সকল অংশীজন কে নিষিদ্ধ করতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, কোনরকম তালবাহানা ছাড়া দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য পাঁচ দফা দাবি গুলো হলো ১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা। ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা । ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।