এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াইয়ে টস জিতে বোলিং নিয়ে দুর্দান্ত মোমেন্টাম পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে উইকেট নেওয়ার পর ৪৯ রানে তুলে নিয়েছিল পাকিস্তানের ৫ উইকেট। পরেই তিন ক্যাচ ফেলে মোমেন্টাম হারায় বাংলাদেশ। সুযোগ নিয়ে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে তাওহীদ হৃদয়-জাকের আলীদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান। রোববার শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে সালমান আগার দল।
শুরুতে ব্যাটিং করা পাকিস্তানের হয়ে মিডলে ব্যাট করা অধিনায়ক সালমান আগা ২৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। জীবন পাওয়া পেসার শাহীন আফ্রিদি দুই ছক্কার শটে ১৩ বলে ১৯ রান করেন। মোহাম্মদ হারিসও জীবন পান। তিনি ২৩ বলে দলের পক্ষে সর্বাধিক ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এছাড়া বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ ১৫ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। শেষটায় ফাহিম আশরাফ ৯ বলে ১৪ রান যোগ করেন।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশও প্রথম ওভারে উইকেট হারায়। হুক খেলতে গিয়ে তানজিদ তামিমকে বসিয়ে একাদশে রাখা পারভেজ ইমন শূন্য করে ফিরে যান। ইনজুরির কারণে লিটন দাস খেলতে না পারায় তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তাওহীদ হৃদয় (১০ বলে ৫ রান)। পরেই সেট হওয়া ও আশা দেওয়া সাইফ হাসান ১৫ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৮ রান করে ফিরলে ২৯ রানে ৩ উইকেট হয়ে যায় বাংলাদেশ। চাপ জেঁকে বসে।
ওই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি নুরুল হাসান-জাকের আলীরা। চারে ব্যাট করতে নেমে যেমন শেখ মাহেদী ১০ বলে ১১ রান করেন। পাঁচে নেমে প্রথম বলেই এজড হয়ে ছক্কা পাওয়া নুরুল হাসান সোহান শেষ পর্যন্ত ধুঁকে ধুঁকে ২১ বলে ১৬ রান করে আউট হন। জাকের আলী ৫ রান করে আউট হন। আশা দেওয়া শামীম পাটোয়ারি ২৫ বলে ৩০ রান করে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে দলের ৯৭ রানে আউট হতেই বাংলাদেশ দলের ফাইনালের আশা শেষ হয়। রিশাদ ১৬ রান করে শেষটায় হারের ব্যবধান ছোট করেন।
বাংলাদেশের পেসার ও স্পিনাররা বোলিং খারাপ করেননি। তাসকিন আহমেদ ও শেখ মাহেদী ৪ ওভারে ২৮ করে রান দিয়েছেন যথাক্রমে তিন ও দুই উইকেট পান। সমান রান দিয়ে তানজিম উইকেট শূন্য ছিলেন। রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এক উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচা করেন। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩টি ও হারিস রউফ ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সাইম ৪ ওভারে ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।