এখন নির্বাচন হলে ডাকসুর মতো ফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির পদ স্থগিত হওয়া নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। বুধবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর ) এক গণমাধ্যমে নেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফজলুর রহমান বলেন, এই ইলেকশনটা হলে পরে ডাকসুতে যেরকম ডাইস বানাইছিল, এরকম ডাইস বানিয়ে রেখে দেবে। জামায়াতের পক্ষে ডাইস বানিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে সব জায়গাতে। রিটার্নিং অফিসারদেরকে। কী ডাইসে খেলাটা হবে, ফিতাটা তৈরি হবে, এই নির্বাচনটা তৈরি হবে- তা ডাইস বানায়া রেখে দিয়েছে।
‘কাজেই ইউনূস সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ, ইউনূসের একটা রাজনৈতিক দল আছে, মাথায় হাত দিয়ে বলে তুই হবি প্রধানমন্ত্রী। যে মেম্বার হতে পারবে না তারে প্রধানমন্ত্রী বানায় ইউনূস। আবার ইউনূস বানায় বললে একটু বেশি বলা হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘ইউনূসের যে পিএস আছে, বাশের চেয়ে কঞ্চির দৌড় বেশি। সূর্যের চেয়ে বালুর তাপ বেশি। তার যে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, আপনি (নাহিদ ইসলাম) হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আগেই প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে রাখছে।’
ফজলুর রহমান বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ইলেকশন হবে, এটা আমি নব্বই পার্সেন্ট বিশ্বাস করি না। যদিও আমার দল বিশ্বাস করে। আমার মনে হয় না যে, ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হবে। আর ইউনূস সরকারের অধীনে কোনো ইলেকশন হোক এটা আমি চাই না।
জামায়াতের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক নিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে হলো রাতের সম্পর্ক। রাতের সম্পর্কটা বড় খারাপ। ঝাড়ের বাঁশ কাটিয়া বন্ধু গাঙ্গে দিলাম বানা, রাইতে আইও রাইতে যাইও দিনে করি মানারে বন্ধু দিনে করি মানা। অচিন গায়ের অচিন বন্ধুরে। রাইতে আইও রাইতে যাইও ইউনূসের সঙ্গে জামায়াতের যে সম্পর্ক ইলেকশনটা ইউনূসের অধীনে করলে তারেক রহমান দেখবেন যে ইউসূস হলো তারেক রহমানের দিনের বন্ধু, আর শফিকুর রহমান হলেন ইউনূসের রাইতের বন্ধু। রাইতের বন্ধুর প্রতি মায়া বড় বেশি।’
পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ইউনূসের অধীনে কোনো নির্বাচন চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে তিন মাসের জন্য। ওই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।