ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

প্রত্যাবর্তনটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ। অন্যথা, অভিষেক শর্মা যে ঝড় শুরু করেছিলেন তাতে ১৬৯ রান নয় আরো বড় লক্ষ্য পেতে পারতেন জাকের আলি অনিক-তাওহিদ হৃদয়রা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে।

সঙ্গে একটা উইকেট শিকারের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭ রানে অভিষেকের ক্যাচ মিস করেন লিটন দাসের পরিবর্তে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পাওয়া জাকের। অবশ্য শুধু গ্লাভসের দায়িত্ব নয়, পুরো দলের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্যাচটা ধরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশকে ‘ঝড়ের মুখে’ ফেলে দেন অধিনায়ক।

তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ পাওয়ার পরেই চার-ছক্কার বৃষ্টি নামাতে থাকেন অভিষেক। এতটাই যে পাওয়ার প্লের শেষ তিন ওভারে শুবমান গিলকে সঙ্গী করে ৫৫ রান তোলেন তিনি। এতে ৬ ওভারে ৫০ হওয়া নিয়ে যখন শঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেই রান কি না বিনা উইকেটে ৭২ দাঁড়ায়। সেই ঝড় থামান রিশাদ হোসেন।

৭ রানের ব্যবধানে ২ ‍উইকেট তুলে নিয়ে। ফেরান গিল ও শিবম দুবেকে। তবে অভিষেকের ব্যাটে ঠিকই ঝড় বইছিল। তার তাণ্ডব থামে রিশাদেরই দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। দলীয় ১১২ রানের সময় পয়েন্টে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল ধরে নন স্ট্রাইক প্রান্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে দেন।

বল ধরেই স্টাম্প ভেঙে দেন বাঁহাতি পেসার। তাতে অভিষেকের ৭৫ রানের ঝড় থামে। ২০২.৭০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা ও ৬ চারে।

ভাগ্যকে পাশে পাওয়া বাংলাদেশ পরে দ্রুত সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মাকে আউট করে রানের চাকা টেনে ধরে। কেননা প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান করা ভারত শেষ ৬০ বলে নিয়েছে মাত্র ৭২ রান। শেষ দিকে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ এনে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৯ বলের ইনিংসটিতে ৪ চার ও ১ ছক্কায়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ, ফাইনালে ভারত

বাংলাদেশকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

আপডেট সময় ১০:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাবর্তনটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ। অন্যথা, অভিষেক শর্মা যে ঝড় শুরু করেছিলেন তাতে ১৬৯ রান নয় আরো বড় লক্ষ্য পেতে পারতেন জাকের আলি অনিক-তাওহিদ হৃদয়রা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে।

সঙ্গে একটা উইকেট শিকারের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭ রানে অভিষেকের ক্যাচ মিস করেন লিটন দাসের পরিবর্তে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পাওয়া জাকের। অবশ্য শুধু গ্লাভসের দায়িত্ব নয়, পুরো দলের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্যাচটা ধরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশকে ‘ঝড়ের মুখে’ ফেলে দেন অধিনায়ক।

তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ পাওয়ার পরেই চার-ছক্কার বৃষ্টি নামাতে থাকেন অভিষেক। এতটাই যে পাওয়ার প্লের শেষ তিন ওভারে শুবমান গিলকে সঙ্গী করে ৫৫ রান তোলেন তিনি। এতে ৬ ওভারে ৫০ হওয়া নিয়ে যখন শঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেই রান কি না বিনা উইকেটে ৭২ দাঁড়ায়। সেই ঝড় থামান রিশাদ হোসেন।

৭ রানের ব্যবধানে ২ ‍উইকেট তুলে নিয়ে। ফেরান গিল ও শিবম দুবেকে। তবে অভিষেকের ব্যাটে ঠিকই ঝড় বইছিল। তার তাণ্ডব থামে রিশাদেরই দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। দলীয় ১১২ রানের সময় পয়েন্টে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল ধরে নন স্ট্রাইক প্রান্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে দেন।

বল ধরেই স্টাম্প ভেঙে দেন বাঁহাতি পেসার। তাতে অভিষেকের ৭৫ রানের ঝড় থামে। ২০২.৭০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা ও ৬ চারে।

ভাগ্যকে পাশে পাওয়া বাংলাদেশ পরে দ্রুত সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মাকে আউট করে রানের চাকা টেনে ধরে। কেননা প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯৬ রান করা ভারত শেষ ৬০ বলে নিয়েছে মাত্র ৭২ রান। শেষ দিকে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ এনে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৯ বলের ইনিংসটিতে ৪ চার ও ১ ছক্কায়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।