ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার ৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো ইসলামী আন্দোলন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক জনসভায় দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি প্রার্থীদের হাত তুলে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের দলীয় প্রতীক হবে হাত পাখা।

প্রার্থীরা হলেন—বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে এবিএম মোস্তফা কামাল পাশা, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে অ্যাডভোকেট মুফতি জামাল উদ্দিন, বগুড়া-৩ (আদমদিঘী-দুপচাচিয়া) আসনে অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে অধ্যাপক মাওলানা ইদ্রিস আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে অধ্যাপক মীর মাহমুদুল রহমান চুন্নু, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আ. ন. ম মামুনুর রশীদ এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে অধ্যাপক সবুজ ইসলাম সফিক।

এর আগে বিকেলে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, পিআর পদ্ধতি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে জনগণের প্রতিটি ভোটের মূল্য আছে। এখানে ছোট-বড় সব দলই ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে আসন পায়। এজন্য পিআর পদ্ধতি চালু করা ছাড়া বিকল্প নেই। একটি শক্তিশালী, প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ গঠন হয়, যা জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করে বলেছেন, সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন অবশ্যই আপনাকে দিতে হবে, তা ছাড়া আবার বাংলাদেশে নতুন করে ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে।

নায়েবে আমির ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমরা দেশের নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। ৫৩ বছর ধরে যে প্রহসনের নির্বাচন দেখে এসেছি, যেখানে দিনের ভোট রাতে বাক্সবন্দি হয়, যেখানে কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি আমরা আর চাই না। এই পদ্ধতি বহু মায়ের বুক খালি করেছে, বহু জীবন পঙ্গু করেছে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদের জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার। এটি ছিল রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য জনগণের সঙ্গে করা একটি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি কার্যকর করা হয়নি। তাই আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।

জেলা সভাপতি আ. ন. ম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্ত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ আলেম আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, বগুড়া জেলার সভাপতি-মাওলানা আব্দুল মতিন, সহসভাপতি অধ্যাপক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মুফতি এমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমান জিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মুহম্মাদ সোহরাব হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মন্টু, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ছাত্রনেতা নাঈম হাসান প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ার ৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো ইসলামী আন্দোলন

আপডেট সময় ০৮:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ খোকন পার্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক জনসভায় দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি প্রার্থীদের হাত তুলে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের দলীয় প্রতীক হবে হাত পাখা।

প্রার্থীরা হলেন—বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে এবিএম মোস্তফা কামাল পাশা, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে অ্যাডভোকেট মুফতি জামাল উদ্দিন, বগুড়া-৩ (আদমদিঘী-দুপচাচিয়া) আসনে অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে অধ্যাপক মাওলানা ইদ্রিস আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে অধ্যাপক মীর মাহমুদুল রহমান চুন্নু, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আ. ন. ম মামুনুর রশীদ এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে অধ্যাপক সবুজ ইসলাম সফিক।

এর আগে বিকেলে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, পিআর পদ্ধতি এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে জনগণের প্রতিটি ভোটের মূল্য আছে। এখানে ছোট-বড় সব দলই ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে আসন পায়। এজন্য পিআর পদ্ধতি চালু করা ছাড়া বিকল্প নেই। একটি শক্তিশালী, প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ গঠন হয়, যা জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করে বলেছেন, সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন অবশ্যই আপনাকে দিতে হবে, তা ছাড়া আবার বাংলাদেশে নতুন করে ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে।

নায়েবে আমির ফয়জুল করীম বলেছেন, দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমরা দেশের নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। ৫৩ বছর ধরে যে প্রহসনের নির্বাচন দেখে এসেছি, যেখানে দিনের ভোট রাতে বাক্সবন্দি হয়, যেখানে কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি আমরা আর চাই না। এই পদ্ধতি বহু মায়ের বুক খালি করেছে, বহু জীবন পঙ্গু করেছে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদের জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার। এটি ছিল রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য জনগণের সঙ্গে করা একটি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি কার্যকর করা হয়নি। তাই আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।

জেলা সভাপতি আ. ন. ম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্ত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীণ আলেম আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, বগুড়া জেলার সভাপতি-মাওলানা আব্দুল মতিন, সহসভাপতি অধ্যাপক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মুফতি এমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমান জিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মুহম্মাদ সোহরাব হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মন্টু, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ছাত্রনেতা নাঈম হাসান প্রমুখ।