সাত সপ্তাহ ধরে সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো আজ শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২০০ জন। আলজাজিরার সরাসরি সম্প্রচারিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে। এ ছাড়া স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হামাসের হাতে জিম্মি ১৩ জনের একটি প্রথম দলকে গাজা থেকে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যুদ্ধবিরতির চার দিনের মধ্যে, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার সময় হামাস কর্তৃক জিম্মি হওয়া প্রায় ২৪০ জনের মধ্যে মোট ৫০ জন নারী ও শিশুকে মুক্ত করা হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মোট ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
যাদের অনেককে কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দি করা হয়েছিল। ইসরায়েলি আর্মির রেডিওর সংবাদ অনুসারে, ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দির প্রথম দলকে শুক্রবার রাত ৮টায় মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের দুটি ইসরায়েলি কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। একটি ড্যামন এবং অন্যটি মেগিদ্দো।
উভয় কারাগারই হাইফার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এরপর তাদের দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার দক্ষিণে ওফার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে কাছাকাছি একটি ক্রসিংয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতি ১০ জন অতিরিক্ত বন্দির জন্য এক দিন যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হবে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি) গাজায় বন্দিদের মুক্তির সুবিধার্থে কাজ করবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিসর থেকে গাজায় অতিপ্রয়োজনীয় মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হামাস বলছে, প্রতিদিন ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক এবং আরো জ্বালানির ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার হামদাহ সালহুত প্রতিবেদনে বলেছেন, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, রেড ক্রস বন্দিদের ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে সহায়তা করবে। রেড ক্রস ইসরায়েলি বন্দিদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের হস্তান্তর করবে। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষে বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য তেল আবিবের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বন্দিদের পরিবারকে অবহিত করেছে, বন্দিরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মন্তব্য সংক্ষিপ্ত করে সালহুত বলেন, ‘যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু পরিবর্তন হতে পারে, যদিও সব পক্ষ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।