তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই অতিরিক্ত।তবে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। গড়ে কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। চালের দামও কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা কমেছে। পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। তবে বেড়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
আজ বাজারে প্রতি কেজি বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধন্দুল ৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা এবং পটল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।একই সঙ্গে বাজারে বর্তমানে কেজিপ্রতি গাজর ৯০-১০০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের মতো দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। বর্তমানে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং আলু ২০ টাকা থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল ইসলাম বলেছেন, গত তিন মাস ধরে সবজির অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা সাধারণ ক্রেতারা ভালো করে সবজি কিনতে পারছি না। কেউ আধা কেজি, কেউ ২৫০ গ্রাম করে সবজি কিনছে। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এত বেশি দামে সবজি কিনে খাওয়া কঠিন। অথচ বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ এখনো দেখতে পাইনি। ফলে, যে যার মতো করে সবজির বাড়তি দাম আদায় করে নিচ্ছে।
সবজির দাম বেশি হওয়ার কারণ জানিয়ে মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, আরও কিছুদিন সবজির দাম এমন বাড়তি থাকবে। কারণ এখন বেশিরভাগ সবজির মৌসুম শেষ হয়েছে। বাজারে নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বেশি দাম থাকবে। বাজারে নতুন সবজি ওঠা শুরু করলে ধীরে ধীরে সবকিছুর দাম কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজারে সবজি চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। যে কারণে পাইকারি বাজারেই বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারগুলোতেও পড়েছে।