ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: খেলাফত মজলিস

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 40

জুলাই সনদ নিয়ে শয়তানি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা। তারা বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে জুনাই সনদ বাস্তবায়ন লাগবেই, এটি ছাড়া দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত এক বছরের বেশি সময়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে জুলাই সনদ তৈরি করেছে। কিন্তু এখনো আইনি ভিত্তি দেওয়া ও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাস্তবায়ন নিয়ে বড় একটি রাজনৈতিকসহ অনেকেই নানাভাবে টালবাহানা করছে, শয়তানি চলছে। কিন্তু জুলাই সনদ নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ মেনে নেবেনা।

শুধু আইনিভিত্তি নয়, জুলাই সনদ অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে বলেও জানান নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, যে সংবিধান স্বৈরাচার তৈরি করে, তা দিয়ে নির্বাচন হলে আবারও নতুন কোনো স্বৈরাচার গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।

এ সময় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা বলেন, স্বৈরাচার পতনে প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা দেখছি, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি দেওয়া নিয়ে একটি বড় দল আপত্তি তুলছে। তারাও স্বৈরাচারী হতে চায়। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে, হাসিনা ভারতে পালালেও আপনাদের যাওয়ার কোথাও জায়গা নেই। আমেরিকাও জায়গা দেবে না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মাসের পর মাস বসে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বড় একটি রাজনৈতিক দল বলছে, সরকার গঠনের পর বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা। ক্ষমতায় গিয়ে কথা না রাখার বহু ইতিহাস রয়েছে। তাই, আমরা মনে করি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কিংবা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হতে পারে। আমরা মনে করি, আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার, স্বৈরাচার তৈরির পথ ঠেকানোর প্রধান মাধ্যম হলো জুলাই সনদ। এটি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়ব না।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকার ব্যবস্থা না হলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে সির্বাচন চাই। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, উচ্চকক্ষে পিআর ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: খেলাফত মজলিস

আপডেট সময় ০৭:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই সনদ নিয়ে শয়তানি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা। তারা বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে জুনাই সনদ বাস্তবায়ন লাগবেই, এটি ছাড়া দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত এক বছরের বেশি সময়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে জুলাই সনদ তৈরি করেছে। কিন্তু এখনো আইনি ভিত্তি দেওয়া ও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাস্তবায়ন নিয়ে বড় একটি রাজনৈতিকসহ অনেকেই নানাভাবে টালবাহানা করছে, শয়তানি চলছে। কিন্তু জুলাই সনদ নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ মেনে নেবেনা।

শুধু আইনিভিত্তি নয়, জুলাই সনদ অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে বলেও জানান নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, যে সংবিধান স্বৈরাচার তৈরি করে, তা দিয়ে নির্বাচন হলে আবারও নতুন কোনো স্বৈরাচার গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।

এ সময় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা বলেন, স্বৈরাচার পতনে প্রফেসর ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা দেখছি, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি দেওয়া নিয়ে একটি বড় দল আপত্তি তুলছে। তারাও স্বৈরাচারী হতে চায়। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে, হাসিনা ভারতে পালালেও আপনাদের যাওয়ার কোথাও জায়গা নেই। আমেরিকাও জায়গা দেবে না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মাসের পর মাস বসে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বড় একটি রাজনৈতিক দল বলছে, সরকার গঠনের পর বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা। ক্ষমতায় গিয়ে কথা না রাখার বহু ইতিহাস রয়েছে। তাই, আমরা মনে করি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কিংবা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হতে পারে। আমরা মনে করি, আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার, স্বৈরাচার তৈরির পথ ঠেকানোর প্রধান মাধ্যম হলো জুলাই সনদ। এটি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়ব না।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকার ব্যবস্থা না হলে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে সির্বাচন চাই। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, উচ্চকক্ষে পিআর ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।