ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এবার রাকসু নির্বাচনেও প্রার্থী হলেন স্বামী-স্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 56

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন হাবিব-সানজিদা দম্পতি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে প্রচারণা দৃষ্টি কেড়েছে শিক্ষার্থীদের। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে জয়ী দম্পতিদের মতো রাকসুতেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

মো. হাবিবুর রহমান (হাবিব) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি লড়ছেন কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে। অন্যদিকে সানজিদা ইসলাম পড়াশোনা করছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষে। তিনি লড়ছেন মন্নুজান হল সংসদে সাহিত্য ও বির্তক সম্পাদক পদে।

কেন তারা ক্লাসরুম এবং সংসার সামলানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে সানজিদা ইসলাম বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক জগতে আমাদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এ পথে অগ্রসর হতে আগ্রহী করেছে। সে জায়গা থেকে নিজেদের যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করতে পারব এই আত্মবিশ্বাস থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা দু’জন আসলে নির্বাচনে দুই পদে প্রার্থী হচ্ছি। কারণ আমাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দুটি ভিন্ন জায়গায়। ১৯ নম্বর ব্যালট নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমি এবং ১ নম্বর ব্যালট নিয়ে আমার স্ত্রী মন্নুজান হল সংসদে বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা গত তিন বছর ধরে ক্যাম্পাসে আছি। আগের অভিজ্ঞতা ও ক্যাম্পাস জীবনের বাস্তবতা মিলিয়ে মনে হয়েছে, এই দুটি পদে আমরা দু’জনই সেরা সেবা দিতে পারব।

নির্বাচনি প্রচারণায় কোনো সংকট বা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সংকট হলো—অনেক লম্বা ছুটির মাঝখানে নির্বাচন হওয়ায় অনেক আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী বাসায় চলে যাবে। এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এখন পর্যন্ত আমরা বুলিংয়ের শিকার বা নেতিবাচক কিছু লক্ষ্য করিনি বরং প্রচুর অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হয়ে ফিরব বলে আশাবাদী।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

এবার রাকসু নির্বাচনেও প্রার্থী হলেন স্বামী-স্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন হাবিব-সানজিদা দম্পতি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে প্রচারণা দৃষ্টি কেড়েছে শিক্ষার্থীদের। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে জয়ী দম্পতিদের মতো রাকসুতেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

মো. হাবিবুর রহমান (হাবিব) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি লড়ছেন কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে। অন্যদিকে সানজিদা ইসলাম পড়াশোনা করছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষে। তিনি লড়ছেন মন্নুজান হল সংসদে সাহিত্য ও বির্তক সম্পাদক পদে।

কেন তারা ক্লাসরুম এবং সংসার সামলানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে সানজিদা ইসলাম বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক জগতে আমাদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে এ পথে অগ্রসর হতে আগ্রহী করেছে। সে জায়গা থেকে নিজেদের যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করতে পারব এই আত্মবিশ্বাস থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা দু’জন আসলে নির্বাচনে দুই পদে প্রার্থী হচ্ছি। কারণ আমাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দুটি ভিন্ন জায়গায়। ১৯ নম্বর ব্যালট নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমি এবং ১ নম্বর ব্যালট নিয়ে আমার স্ত্রী মন্নুজান হল সংসদে বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা গত তিন বছর ধরে ক্যাম্পাসে আছি। আগের অভিজ্ঞতা ও ক্যাম্পাস জীবনের বাস্তবতা মিলিয়ে মনে হয়েছে, এই দুটি পদে আমরা দু’জনই সেরা সেবা দিতে পারব।

নির্বাচনি প্রচারণায় কোনো সংকট বা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সংকট হলো—অনেক লম্বা ছুটির মাঝখানে নির্বাচন হওয়ায় অনেক আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী বাসায় চলে যাবে। এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এখন পর্যন্ত আমরা বুলিংয়ের শিকার বা নেতিবাচক কিছু লক্ষ্য করিনি বরং প্রচুর অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হয়ে ফিরব বলে আশাবাদী।