সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালের এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রোগীর পাঁচ স্বজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর সড়কে একটি ট্রাক ও দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিজ ফুলসাইন্দ মোকামটিলার তানিম আহমেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, তানিমের মৃত্যুতে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ এনে প্রথমে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন তার স্বজন ও বন্ধুরা। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের কর্মচারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তবে হামলার ঘটনায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত এমন অভিযোগ করে সিলেট জেলা জামায়াতের আমির হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, রোগীর অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল যে, আগেই মারা যাওয়ার কথা ছিল। তবুও তারা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে হামলা চালিয়েছে। তারা জোর করে আইসিইউতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজন বাধা দিলে হাসপাতালের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। তবে এ হামলায় রোগীর স্বজনরা জড়িত নয়। তৃতীয় পক্ষ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইবনে সিনা হাসপাতালের ঘটনার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উদ্যোগে রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের পরিবার-স্বজনদের মধ্যে সমঝোতা হয়। বৈঠক শেষে তানিমের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।