ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত থেকে এমপি মনোনয়ন পাবেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও!

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশের সবগুলো—মোট ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। একক কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতই প্রথম প্রতিটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল।

দলীয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়ে ভাবছে জামায়াত। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ও ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতেই এবার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যোগ্য, সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে সংখ্যালঘু বেশ কয়েকজন দলের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন। দলটি থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে তাদের মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটি দলটির ইতিহাসে একটি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

‘এটা ভালো, নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কারণ বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ, বিভিন্ন মতপ্রকাশের লোক আছে, জাতিগোষ্ঠী আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা যদি প্রকৃতপক্ষে অবদান রাখতে চায়, তাদের (সংখ্যালঘু) তো অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।’-বদিউল আলম মজুমদার, সুজন

সম্প্রতি জামায়াতের আইনজীবী ও সাবেক শিবির নেতা ব্যারিস্টার শিশির মনির একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে বলেছেন, ‌‌‘এবার চমক থাকছে, জামায়াতে ইসলামীও মাইনরিটি কমিউনিটির লোকজনকে তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে নমিনেশন দেবে। এটার জন্য অপেক্ষা করুন। আমরা খুব ক্লোজলি এটা নিয়ে কাজ করছি।’

রাজনৈতিক অঙ্গনে এ খবরে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ একে ইতিবাচক রাজনৈতিক উদারতার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে জামায়াতের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াত যদি সত্যিকার অর্থেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তবে তা দেশের বহুত্ববাদী রাজনীতির জন্য একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দলটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের ওপর।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এটা ভালো, নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কারণ বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ, বিভিন্ন মতপ্রকাশের লোক আছে, জাতিগোষ্ঠী আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা যদি প্রকৃতপক্ষে অবদান রাখতে চায়, তাদের (সংখ্যালঘু) তো অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত থেকে এমপি মনোনয়ন পাবেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও!

জামায়াত থেকে এমপি মনোনয়ন পাবেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও!

আপডেট সময় ১১:১১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশের সবগুলো—মোট ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। একক কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতই প্রথম প্রতিটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল।

দলীয় সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়ে ভাবছে জামায়াত। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্যও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ও ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতেই এবার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তথা হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যোগ্য, সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে সংখ্যালঘু বেশ কয়েকজন দলের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন। দলটি থেকেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে তাদের মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটি দলটির ইতিহাসে একটি বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

‘এটা ভালো, নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কারণ বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ, বিভিন্ন মতপ্রকাশের লোক আছে, জাতিগোষ্ঠী আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা যদি প্রকৃতপক্ষে অবদান রাখতে চায়, তাদের (সংখ্যালঘু) তো অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।’-বদিউল আলম মজুমদার, সুজন

সম্প্রতি জামায়াতের আইনজীবী ও সাবেক শিবির নেতা ব্যারিস্টার শিশির মনির একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে বলেছেন, ‌‌‘এবার চমক থাকছে, জামায়াতে ইসলামীও মাইনরিটি কমিউনিটির লোকজনকে তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে নমিনেশন দেবে। এটার জন্য অপেক্ষা করুন। আমরা খুব ক্লোজলি এটা নিয়ে কাজ করছি।’

রাজনৈতিক অঙ্গনে এ খবরে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ একে ইতিবাচক রাজনৈতিক উদারতার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে জামায়াতের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াত যদি সত্যিকার অর্থেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তবে তা দেশের বহুত্ববাদী রাজনীতির জন্য একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দলটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের ওপর।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এটা ভালো, নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কারণ বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ, বিভিন্ন মতপ্রকাশের লোক আছে, জাতিগোষ্ঠী আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা যদি প্রকৃতপক্ষে অবদান রাখতে চায়, তাদের (সংখ্যালঘু) তো অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।