ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

সম্পতি নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের উৎপাত বেড়েই চলেছে।এটি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া মামলাগুলোর চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের আইন অনুযায়ী দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার ব্যাপারে প্রসিকিউশিন বিভাগকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাতে বলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর সংঘবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার বিষয়েও পরামর্শ এসেছে। উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ঝটিকা মিছিল হচ্ছে। দিন দিন মিছিলের সংখ্যা বাড়ছে। তবে মিছিলে উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য নয়। সম্প্রতি রাজধানীর বাইরেও একই প্রক্রিয়ায় চার থেকে পাঁচ মিনিটের মিছিল করা শুরু করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। গত শনিবার কুমিল্লার চান্দিনা মহাসড়কে ভোরে ১৫ থেকে ২০ জন মিছিল বের করে। সর্বশেষ গতকাল রোববার ঢাকার পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মী।

এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটর ও গুলশান এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দলটি। পর দিন ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় মুজিববাদী ক্যাডাররা। এর আগে আগস্টে একই এলাকায় শতাধিক আওয়ামী কর্মী মিছিল করে। আগস্টে গুলিস্তানে মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা অতিথি কর্মীরা। মিছিলগুলোতে উপস্থিতি সাধারণত ১৫ থেকে ২০ থেকে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি হয় না।

গত ৫ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় কয়েকশ লোক নিয়ে মিছিল করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার গোটা সংসদ পালিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম কিছুটা বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মিছিল বের হয়। একই দিন বিজয় সরণি এলাকায়ও মিছিল হয়।

এদিকে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের একটি দলের স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে মূলত তুলনামূলক বড় ধরনের মিছিল বের করেছে আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের পর ওই নেতার নানামুখী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। ওই মিছিলের পর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থার পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান নিতে পরামর্শ দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় এবং সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের দুটি বড় দলের মধ্যকার বিরোধের কারণে আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে মুজিববাদী কর্মীরা।

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের উৎপাত ও ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টার প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ওমর ফারুক বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য এ জন্য অনেকাংশে দায়ী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হওয়ার পাশাপাশি দলগুলোকে আওয়ামী লীগ, চৌদ্দ দলসহ ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিষয়ে সংঘবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে। ডিএমপিতে প্রতিদিনই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে মিছিলকারীদের। আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিরাপত্তা সংস্থা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলেছে, পুলিশ যেহেতু নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তাই তাদের আরো কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের দুটি বড় শক্তিকে এলাকাভিত্তিক আওয়ামী কর্মীদের বিষয়ে নমনীয়তা না দেখাতে দল দুটিকে পরামর্শ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। দল দুটির বিভেদকে কাজে লাগিয়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো নেতার প্রশ্রয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীরা যাতে মাঠে না নামতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপাররা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। সেখানে দলগুলোর সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। যেমনটি গত ৬ আগস্ট করেছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

পুলিশের এই কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএমপির ডিবি পুলিশ সাম্প্রতিককালে খুব ভালো করছে। ঝটিকা মিছিলকারীদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতেও একই ধরনের তৎপরতা দেখানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম শানতু বলেন, সন্ত্রাসবিরোধীসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনের বিধান কার্যকরের মাধ্যমে জনশৃঙ্খলা ও জনশান্তি রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এএইচএম শাহাদাত হোসেন বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত আমিরের সাথে শিল্প মালিক প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পতি নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের উৎপাত বেড়েই চলেছে।এটি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া মামলাগুলোর চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের আইন অনুযায়ী দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার ব্যাপারে প্রসিকিউশিন বিভাগকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাতে বলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর সংঘবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার বিষয়েও পরামর্শ এসেছে। উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ঝটিকা মিছিল হচ্ছে। দিন দিন মিছিলের সংখ্যা বাড়ছে। তবে মিছিলে উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য নয়। সম্প্রতি রাজধানীর বাইরেও একই প্রক্রিয়ায় চার থেকে পাঁচ মিনিটের মিছিল করা শুরু করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। গত শনিবার কুমিল্লার চান্দিনা মহাসড়কে ভোরে ১৫ থেকে ২০ জন মিছিল বের করে। সর্বশেষ গতকাল রোববার ঢাকার পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে স্বল্পসংখ্যক নেতাকর্মী।

এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটর ও গুলশান এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দলটি। পর দিন ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় মুজিববাদী ক্যাডাররা। এর আগে আগস্টে একই এলাকায় শতাধিক আওয়ামী কর্মী মিছিল করে। আগস্টে গুলিস্তানে মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা অতিথি কর্মীরা। মিছিলগুলোতে উপস্থিতি সাধারণত ১৫ থেকে ২০ থেকে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি হয় না।

গত ৫ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় কয়েকশ লোক নিয়ে মিছিল করে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার গোটা সংসদ পালিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম কিছুটা বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে মিছিল বের হয়। একই দিন বিজয় সরণি এলাকায়ও মিছিল হয়।

এদিকে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের একটি দলের স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে মূলত তুলনামূলক বড় ধরনের মিছিল বের করেছে আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের পর ওই নেতার নানামুখী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। ওই মিছিলের পর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থার পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান নিতে পরামর্শ দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় এবং সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের দুটি বড় দলের মধ্যকার বিরোধের কারণে আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে মুজিববাদী কর্মীরা।

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের উৎপাত ও ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টার প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ওমর ফারুক বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য এ জন্য অনেকাংশে দায়ী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হওয়ার পাশাপাশি দলগুলোকে আওয়ামী লীগ, চৌদ্দ দলসহ ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিষয়ে সংঘবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে। ডিএমপিতে প্রতিদিনই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে মিছিলকারীদের। আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিরাপত্তা সংস্থা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলেছে, পুলিশ যেহেতু নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তাই তাদের আরো কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের দুটি বড় শক্তিকে এলাকাভিত্তিক আওয়ামী কর্মীদের বিষয়ে নমনীয়তা না দেখাতে দল দুটিকে পরামর্শ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। দল দুটির বিভেদকে কাজে লাগিয়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো নেতার প্রশ্রয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীরা যাতে মাঠে না নামতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপাররা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। সেখানে দলগুলোর সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। যেমনটি গত ৬ আগস্ট করেছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

পুলিশের এই কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএমপির ডিবি পুলিশ সাম্প্রতিককালে খুব ভালো করছে। ঝটিকা মিছিলকারীদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতেও একই ধরনের তৎপরতা দেখানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম শানতু বলেন, সন্ত্রাসবিরোধীসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনের বিধান কার্যকরের মাধ্যমে জনশৃঙ্খলা ও জনশান্তি রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এএইচএম শাহাদাত হোসেন বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে