পাবনায় সংসদীয় আসন-১ পুনর্বহালের দাবিতে বেড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ডাকে উপজেলাজুড়ে হরতাল কর্মসূচি চলছে।
হরতাল কর্মসূচিতে বিভিন্ন মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একইভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে নগরবাড়ি বন্দর, বৃশালিখা ও কাজিরহাট ঘাটও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, বেড়ার সিঅ্যান্ডবি ও কাশিনাথপুর মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে জ্বালানো হয়েছে টায়ার। অ্যাম্বুলেন্স ও শিশুখাদ্য, কাঁচামালের গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যানবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ঢাকাগামী বা দূরপাল্লার কোনো যানবাহন এ রুটে চলাচল করতে দেখা যায়নি।
অনেক যাত্রী পূর্বে টিকিট কেটে রাখলেও তারা বাস বা কাঙ্ক্ষিত যানে গন্তব্যে যেতে পারছেন না। হরতাল উপেক্ষা করে সকাল থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কসহ বিভিন্ন রুটে রওনা দেওয়া মালবাহী ট্রাকগুলো বেড়া সিঅ্যান্ডবি মোড়ে আটকে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া একটি বাস ও ১০-১২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
পাবনা এক্সপ্রেসের কাউন্টার মাস্টার সিহাব সরদার বলেছেন, কাল টিকিট নিয়েছিল এমন ১৪-১৫ যাত্রীকে সকালে টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, যশোর, বগুড়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলাগামী অনেক মালবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। সব গাড়ি বন্ধ। শুধু জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স ও কাঁচামালের গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া দোকানপাটসহ সব বন্ধ। তারাও এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা জানায়, একটি দলের রাজনৈতিক স্বার্থে পাবনা-১ আসন থেকে বেড়াকে বাদ দিয়ে পাবনা-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এটি আমরা মানি না। এর জেরেই তারা ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ হরতালের ডাক দিয়েছি। দাবি না মানা হলে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে এ হরতালকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম ও বেড়া মডেল থানার ওসি এ কে এম হাবিবুল ইসলাম বেড়া সিঅ্যান্ডবি মোড় পরিদর্শন করলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।