ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মনুষত্ব অর্জন আর পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে একজন মানুষ নাগরিক হিসেবে সব গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার হারানোর কারণে অনেকের মনে হয়তো এক ধরনের অসহিষ্ণুতার জন্ম নিয়েছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে একজন মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য, মনুষ্যত্ব অর্জন আর পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের অধিকারের সম্পর্কটা যেমন, বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে পশুপাখি এবং বন্যপ্রাণীর অধিকারের সম্পর্কটাও তেমন। সুতরাং রাষ্ট্র রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকলে, বাস্তবিকভাবেই বাস্তুতন্ত্র নিরাপদ থাকে। মানুষ হিসেবে আমরা রাষ্ট্র এবং সমাজে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে, অন্য সব প্রাণীর অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারেও আমরা সতর্ক ও যত্নবান থাকব। সেই বিবেচনা থেকেই দেশের রাজনৈতিক ডামাডোলের বাইরে এসে পশুপাখী প্রেমী, প্রাণী প্রেমী কিছু মানুষের আয়োজনে আজকের প্রাণীবিষয়ক এই আলোচনাটি অবশ্যই অর্থবহ এবং অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ।

এই যাত্রায় আমাদের স্লোগান হোক ‘প্রাণ বাঁচাও, প্রাণী বাঁচাও’। দেশ হোক সব প্রাণের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।” তিনি বলেন, ‘এই দেশে এক হাজার ৬০০টির বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৯০টি প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে চলে গিয়েছে, এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশেই।

মানুষের সৃষ্টি পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। বাংলাদেশের গর্ব, ঐতিহ্যের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঘও এখন মনে হয় বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় খুব সম্ভব স্থান করে নিচ্ছে। যতটুকু মনে আছে, ৮০ দশকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল সম্ভবত ৫ শর কাছাকাছি। সর্বশেষ জরিপে সেই বাঘের সংখ্যা কমতে-কমতে এখন ১০০টির কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। হাতির সংখ্যাও এখন কমে ২০০টির নিচে চলে এসেছে বোধহয়।

এভাবে বাংলাদেশের অনেক প্রাণী বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় ধীরে-ধীরে যুক্ত হচ্ছে। নানা কারণে একদিকে জীববৈচিত্র্য যে রকম হুমকির মুখে পড়ছে, ঠিক একইভাবে বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনাও কিন্তু বেশ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আর এসব কারণেই বন্যপ্রাণী, জলজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের আবাসস্থলগুলোও অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে পড়ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে, পশুপাখি-বন্যপ্রাণী তথা বাস্তুতন্ত্র নিরাপত্তার জন্য এই দেশের আইনগুলোকে সময় উপযোগী করব। প্রাণী সম্পর্কিত আইনগুলো পরিবর্তন-পরিবর্ধন প্রয়োজন আছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

মনুষত্ব অর্জন আর পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার: তারেক রহমান

আপডেট সময় ১০:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে একজন মানুষ নাগরিক হিসেবে সব গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক অধিকার হারানোর কারণে অনেকের মনে হয়তো এক ধরনের অসহিষ্ণুতার জন্ম নিয়েছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে একজন মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য, মনুষ্যত্ব অর্জন আর পশুত্ব বর্জনই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রাণী ও প্রাণের মিলন মেলা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সঙ্গে মানুষের অধিকারের সম্পর্কটা যেমন, বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে পশুপাখি এবং বন্যপ্রাণীর অধিকারের সম্পর্কটাও তেমন। সুতরাং রাষ্ট্র রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকলে, বাস্তবিকভাবেই বাস্তুতন্ত্র নিরাপদ থাকে। মানুষ হিসেবে আমরা রাষ্ট্র এবং সমাজে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে, অন্য সব প্রাণীর অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারেও আমরা সতর্ক ও যত্নবান থাকব। সেই বিবেচনা থেকেই দেশের রাজনৈতিক ডামাডোলের বাইরে এসে পশুপাখী প্রেমী, প্রাণী প্রেমী কিছু মানুষের আয়োজনে আজকের প্রাণীবিষয়ক এই আলোচনাটি অবশ্যই অর্থবহ এবং অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ।

এই যাত্রায় আমাদের স্লোগান হোক ‘প্রাণ বাঁচাও, প্রাণী বাঁচাও’। দেশ হোক সব প্রাণের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।” তিনি বলেন, ‘এই দেশে এক হাজার ৬০০টির বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৯০টি প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে চলে গিয়েছে, এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশেই।

মানুষের সৃষ্টি পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। বাংলাদেশের গর্ব, ঐতিহ্যের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঘও এখন মনে হয় বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় খুব সম্ভব স্থান করে নিচ্ছে। যতটুকু মনে আছে, ৮০ দশকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল সম্ভবত ৫ শর কাছাকাছি। সর্বশেষ জরিপে সেই বাঘের সংখ্যা কমতে-কমতে এখন ১০০টির কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। হাতির সংখ্যাও এখন কমে ২০০টির নিচে চলে এসেছে বোধহয়।

এভাবে বাংলাদেশের অনেক প্রাণী বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় ধীরে-ধীরে যুক্ত হচ্ছে। নানা কারণে একদিকে জীববৈচিত্র্য যে রকম হুমকির মুখে পড়ছে, ঠিক একইভাবে বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনাও কিন্তু বেশ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আর এসব কারণেই বন্যপ্রাণী, জলজ উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের আবাসস্থলগুলোও অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে পড়ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে, পশুপাখি-বন্যপ্রাণী তথা বাস্তুতন্ত্র নিরাপত্তার জন্য এই দেশের আইনগুলোকে সময় উপযোগী করব। প্রাণী সম্পর্কিত আইনগুলো পরিবর্তন-পরিবর্ধন প্রয়োজন আছে।’