বিএনপিকে ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, দলটি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি আনিছুর এসব কথা বলেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। যথা সময়ে নির্বাচন হয়ে যাবে মন্তব্য করে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হবে।
না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এটা কারও কাম্য নয়। এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। কয়েক দিন আগে বিএনপি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে এলে তফসিল পরিবর্তনের কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন।
রাশেদা সুলতানার বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে আনিছুর রহমান বলেন, ‘দুই দিন আগেও আমাদের এক কমিশনার (রাশেদা সুলতানা) একটি দলের নাম নিয়ে বলেছেন। যদি তারা নির্বাচনে আসে সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব। আমাদের সুযোগ আছে পেছানোর। নির্বাচনের তফসিল পেছাতে জাতীয় পার্টির দাবি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি।
যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আসে এবং যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে তবে আমরা আলোচনা করে দেখব। নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত ৪৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে জানিয়ে আনিছুর আরো বলেন, ‘শতভাগ দল কখনোই নির্বাচনে আসেনি এবং অংশ নেয়নি। যখন অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, তখন নির্বাচনের একটা আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহ্বান জানাচ্ছি, যাদের রেজিস্টার্ড আছে তারা সবাই অংশগ্রহণ করুক। এটাই আমরা চাই।