ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সেরা লেখক সম্মাননা পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষার্থী Logo সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হলেন বিকৃত শিকার সেই তামান্না Logo ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন টাকসুর সাবেক ভিপি এম এম আল মিনহাজ Logo ডাকসু নির্বাচন: বিপুল ভোটে জয়ী জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো জসিম Logo ডাকসু নির্বাচন বিজয় উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের ২ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা Logo ভাঙ্গায় অবরোধ ,ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ Logo দেখে দিন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল Logo প্রচার-প্রচারণা শেষ, বৃহস্পতিবার জাকসু নির্বাচন Logo স্ত্রীসহ চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল Logo ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী সাদিক কায়েম

শিবির ট্যাগ দিয়ে ডাকসুর নারী প্রার্থীর স্বামীকে হেনস্তা ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক নারী প্রার্থীর স্বামীকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দেওয়ান মোহাম্মদ তাজিম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন— “আজ শিবির-ছাত্রদল মুখোমুখি উত্তপ্ত অবস্থায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা করেছে। মব সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। আমি পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে প্রক্টর স্যারের হস্তক্ষেপে নিরাপদে পৌঁছাতে সক্ষম হই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি কখনোই শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না, এখনো নেই। আমি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের একজন কর্মী। ডাকসু নির্বাচনে আমার স্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। সে অসুস্থ থাকায় তার ফলাফল জানার জন্য টিএসসির সামনে গেলে দাড়ি-টুপি থাকার কারণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে।”

তাজিমের দাবি, এ সময় ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, খাইরুল আহসান মারজানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে নিরাপত্তা দেন। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু গণমাধ্যমকর্মীর সামনে তাকে ‘যাচ্ছেতাই’ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়, যা তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

এদিকে ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

ঘটনা পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট আরাফাত রহমান শৈশব লাইভে এসে বলেন, “ভাইটির ওপর যার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, তাকে আমি চিনি। সে আমার ছোটবেলার বন্ধু। দাড়ি-টুপি থাকার কারণে যিনি হামলা করেছেন, তিনি আমার হাত ধরেই ছাত্রদলে এসেছিলেন। আমি জানি আমার এই অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই, তারপরও দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”

জনপ্রিয় সংবাদ

সেরা লেখক সম্মাননা পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষার্থী

শিবির ট্যাগ দিয়ে ডাকসুর নারী প্রার্থীর স্বামীকে হেনস্তা ছাত্রদলের

আপডেট সময় ১২:২১:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক নারী প্রার্থীর স্বামীকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দেওয়ান মোহাম্মদ তাজিম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন— “আজ শিবির-ছাত্রদল মুখোমুখি উত্তপ্ত অবস্থায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা করেছে। মব সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। আমি পরিচয়পত্র দেখানোর পরও তা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে প্রক্টর স্যারের হস্তক্ষেপে নিরাপদে পৌঁছাতে সক্ষম হই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি কখনোই শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না, এখনো নেই। আমি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের একজন কর্মী। ডাকসু নির্বাচনে আমার স্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। সে অসুস্থ থাকায় তার ফলাফল জানার জন্য টিএসসির সামনে গেলে দাড়ি-টুপি থাকার কারণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে মব সৃষ্টির চেষ্টা করে।”

তাজিমের দাবি, এ সময় ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, খাইরুল আহসান মারজানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে নিরাপত্তা দেন। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু গণমাধ্যমকর্মীর সামনে তাকে ‘যাচ্ছেতাই’ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়, যা তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

এদিকে ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

ঘটনা পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট আরাফাত রহমান শৈশব লাইভে এসে বলেন, “ভাইটির ওপর যার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, তাকে আমি চিনি। সে আমার ছোটবেলার বন্ধু। দাড়ি-টুপি থাকার কারণে যিনি হামলা করেছেন, তিনি আমার হাত ধরেই ছাত্রদলে এসেছিলেন। আমি জানি আমার এই অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই, তারপরও দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”