ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সভা চলছিল। এ সময় ফোন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ফোনে না পেয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে মুঠোফোনে একটি বার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বার্তাটি বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে পড়ে শোনান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বার্তায় তিনি বলেন,ঢাকসু নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেনও তিনি।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, পুরো জাতি ডাকসু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে উপস্থিত সরকারের দুজন নীতিনির্ধারক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটায় শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে ডাকসু নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভার শুরুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন কেমন হবে। একই সঙ্গে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে, তা ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বোঝা যাবে। তাই যেকোনো মূল্যে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেনশিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার দুজন বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।