ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডাকসুর ব্যালটে সতর্কতা: টিক নয়, দিতে হবে ক্রস চিহ্ন Logo নকল আইডি কার্ড দেখিয়ে ঢাবিতে প্রবেশের চেষ্টা, যুবক আটক Logo ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে ঢাবিতে প্রবেশের চেষ্টা, দুই যুবক আটক Logo হ্যাভিওয়েট প্রার্থীরা কে কোন কেন্দ্রে ভোট দেবেন Logo দেশের মানুষের পাতে জুটছে না ইলিশ, তবু ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত Logo এবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল নেপালে Logo রাত পোহালেই ডাকসু নির্বাচন : যেভাবে ভোট দিবে শিক্ষার্থীরা Logo যেদিন আমরা রাস্তায় নামব লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না Logo জামালপুরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তির ৮ বছরের কারাদন্ড Logo বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল: ‘নৈতিক কারণে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি।

ফরিদা ইয়াছমিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে ও সোনাইমুড়ীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাপুয়া গ্রামের নুর নবীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্লাহ জানায়, ফরিদা পর্দানশিন নারী। আমি সাত মাসে একবারও তার চেহারা দেখিনি। কেবল ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়ালে কথা হতো। প্রায় স্বামীর সাথে ফরিদার ঝামেলা হতো। তার স্বামী বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। সকালে দরজা না খোলায় আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি এবং পুলিশ এসে মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন, আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসুর ব্যালটে সতর্কতা: টিক নয়, দিতে হবে ক্রস চিহ্ন

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৭:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি।

ফরিদা ইয়াছমিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে ও সোনাইমুড়ীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাপুয়া গ্রামের নুর নবীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্লাহ জানায়, ফরিদা পর্দানশিন নারী। আমি সাত মাসে একবারও তার চেহারা দেখিনি। কেবল ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়ালে কথা হতো। প্রায় স্বামীর সাথে ফরিদার ঝামেলা হতো। তার স্বামী বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। সকালে দরজা না খোলায় আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি এবং পুলিশ এসে মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন, আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।