ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা, একটা ফ্যাসিবাদী কায়দা বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাদিক কায়েম বলেন—আমরা শিক্ষার্থীদের ডোর টু ডোর যেতে চাই। শিক্ষার্থীদের আকাঙ্খার কথা শুনতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাগুলো শুনতে চাই। কোন বড় নেতা এলাকা থেকে ফোন দিয়ে কোন শিক্ষার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য করা, এটা একটা ফ্যাসিবাদি কায়দা।
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আমরা কনফিডেন্ট, তারা সৎ, দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। কেউ কাউকে ফোন দিয়ে ভোট দিয়ে বাধ্য করা, কাউকে পরিচিত করা, এ ধরনের কাজ যারা করছেন, প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদের ক্ষতি করছেন।’
সাদিক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের আমরা যারা রয়েছি, জুলাই পরবর্তী সময়ে বছর জুড়ে শিক্ষার্থীবান্ধব-ছাত্রবান্ধব কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমাদের সততা ও দক্ষতা আছে, আমাদের বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখবে। আমরা যখন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাব, শিক্ষার্থীদের যতগুলো সংকট রয়েছে, প্রত্যেকটা সংকট এড্রেস করব।’
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অযাচিত ভোট চেয়ে খুলনার এক ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হওয়ার পর বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিন আল আমিনেরও ডাকসু নির্বাচনের ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার রাতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল আমিন তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের একজন শিক্ষার্থীর নানির বাড়ি ভোট চাইতে হাজির হন।
ঢাকাভয়েস/২৪জেএ