ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নিজ ঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo উমামার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের অব্যাহত আচরণবিধি লঙ্ঘন Logo লেখক ও বামপন্থী রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর আর নেই Logo বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্ত  শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো পাবনা ফোকাস Logo লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ, আটক ৪ শতাধিক Logo কাদের সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর Logo ৬ দিন পর জ্ঞান ফিরেছে চবি শিক্ষার্থী সায়েমের , মামুনের খুলি এখনও ফ্রিজে Logo আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ থেকেও Logo টাঙ্গাইলে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক, ১৪৪ ধারা জারি

এবার ডাকসুর ভোট চাইতে ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে ছাত্রদলের আহ্বায়ক

এবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল-আমিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এতে দেখা যায়, তিনি নেতা-কর্মীর সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের এক শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতেই নিজের ফেসবুক একাউন্টে ওই ভিডিও পোস্ট করতেই মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে খুলনায় একই কারণে একজন ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হওয়ায়, আল-আমিন দ্রুত ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীকে ফোন করে বেরোবি ছাত্রদল নেতা আল-আমিন তার নানির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় তার নানি মনোয়ার নামের ঢাবির ঐ শিক্ষার্থীকে বলছেন, ‌‌‘ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে, কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও।’

আল-আমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন ‘মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবে না, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি।’ এরপর আল-আমিন ওই শিক্ষার্থীর মামার সাথেও কথা বলতে বলেন।

ফোন নিয়ে তার মামা বলেছেন, ‘শোনো, বাংলা কথা, বিএনপির প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে, হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে। আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা।’ এ সময় আলআমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, ‘মনোয়ার, তোমার বন্ধু বান্ধব যারা আছে ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।’

এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল-আমিন বলেছেন, ‘এটা মূলত ১২/১৩ দিন আগের ঘটনা। আমি অনেক আগে থেকেই কোচিং চালাই যে শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়েছে সে আমার কোচিংয়ের ছাত্র। সে আমাদের আত্মীয়। তার মামা বিএনপির নেতা। আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখন তার মামা তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়, কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার মামা তাকে ফোন দিতে বলে। সেখানে সৌহার্দপূর্ণ কথা হয়, দেখবেন আনন্দঘন একটা মুহুর্ত। সে সময় তার নানি, মামা ও আমি কথা বলি। এটা নিয়ে নোংরামি হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা শিবিরের একটা অপকৌশল। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোট চাওয়া বা এমন কিছু নাহ।’

জনপ্রিয় সংবাদ

নিজ ঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

এবার ডাকসুর ভোট চাইতে ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে ছাত্রদলের আহ্বায়ক

আপডেট সময় ০৬:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল-আমিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভোট চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এতে দেখা যায়, তিনি নেতা-কর্মীর সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোয়ার নামের এক শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতেই নিজের ফেসবুক একাউন্টে ওই ভিডিও পোস্ট করতেই মুহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে খুলনায় একই কারণে একজন ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার হওয়ায়, আল-আমিন দ্রুত ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীকে ফোন করে বেরোবি ছাত্রদল নেতা আল-আমিন তার নানির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় তার নানি মনোয়ার নামের ঢাবির ঐ শিক্ষার্থীকে বলছেন, ‌‌‘ও ভাই, ওটি বলে ভোট হবি, তোমার মাস্টার আইছে, কাক দিবার কয়, তাকে এলা ভোটটা দাও।’

আল-আমিন আবার ফোনটা তার হাতে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বলেন ‘মনোয়ার, তোমাকে তো বেশি কিছু বলতে হবে না, আমাদের প্যানেলের দিকে দেখবা তুমি।’ এরপর আল-আমিন ওই শিক্ষার্থীর মামার সাথেও কথা বলতে বলেন।

ফোন নিয়ে তার মামা বলেছেন, ‘শোনো, বাংলা কথা, বিএনপির প্যানেল যেটা, হামরাও বিএনপি করি, হামারই ভোট যদি অন্য দিকে যায় তাহলে মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে, হামারই দল ঠকলেও একটা মান ইজ্জতের ব্যাপার আছে। আবিদুর প্যানেলে ভোট দিবা।’ এ সময় আলআমিন ফোন হাতে নিয়ে আবার বলেন, ‘মনোয়ার, তোমার বন্ধু বান্ধব যারা আছে ব্যাচমেটদের সবাইকে একটু দেখিও।’

এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে বেরোবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল-আমিন বলেছেন, ‘এটা মূলত ১২/১৩ দিন আগের ঘটনা। আমি অনেক আগে থেকেই কোচিং চালাই যে শিক্ষার্থীর কথা বলা হয়েছে সে আমার কোচিংয়ের ছাত্র। সে আমাদের আত্মীয়। তার মামা বিএনপির নেতা। আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখন তার মামা তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়, কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার মামা তাকে ফোন দিতে বলে। সেখানে সৌহার্দপূর্ণ কথা হয়, দেখবেন আনন্দঘন একটা মুহুর্ত। সে সময় তার নানি, মামা ও আমি কথা বলি। এটা নিয়ে নোংরামি হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা শিবিরের একটা অপকৌশল। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভোট চাওয়া বা এমন কিছু নাহ।’