ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে নিজ ঘরে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo গাইবান্ধায় বাসর ঘরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী Logo আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: সারজিস আলম Logo জামায়াত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করলে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাবে ২৫ বছর Logo ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল পক্ষে প্রচারণায় রূপসা ছাত্রদলের সেক্রেটারি, ভিডিও ভাইরাল Logo লাশ পোড়ানো ইসলামের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই: ইসলামী আন্দোলন Logo তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন: ডা. জাহিদ Logo চবি প্রশাসনিক ভবনে লেখা হলো ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন’ Logo ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ ড্র Logo ক্লিন ইমেজ আ. লীগ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাপা: কো-চেয়ারম্যান

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল বিভাগের রায় আজ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 50

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের রায় আজ ঘোষণা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় প্রদান করবেন।

এ মামলায় ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন তারেক রহমানের আইনজীবী। অন্যদিকে লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তের কারণেই ২১ আগস্ট মামলাটি ভিন্ন খাতে মোড় নিয়েছে।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন), আপিল, জেল আপিল ও অন্যান্য আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট অধস্তন আদালতে ছয় বছর আগে দেওয়া রায় বাতিল করে। ফলে অধস্তন আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৯ জনের সবাই খালাস পান। এরপর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মে আপিলের অনুমতির পর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।

এর আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে, ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পৌঁছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। অনেকেই আজও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বহন করে কষ্টকর জীবন পার করছেন, কেউ কেউ চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে নিজ ঘরে কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল বিভাগের রায় আজ

আপডেট সময় ০৯:০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের রায় আজ ঘোষণা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় প্রদান করবেন।

এ মামলায় ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন তারেক রহমানের আইনজীবী। অন্যদিকে লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তের কারণেই ২১ আগস্ট মামলাটি ভিন্ন খাতে মোড় নিয়েছে।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন), আপিল, জেল আপিল ও অন্যান্য আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট অধস্তন আদালতে ছয় বছর আগে দেওয়া রায় বাতিল করে। ফলে অধস্তন আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৯ জন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৯ জনের সবাই খালাস পান। এরপর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মে আপিলের অনুমতির পর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।

এর আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর, উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে, ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পৌঁছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। অনেকেই আজও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বহন করে কষ্টকর জীবন পার করছেন, কেউ কেউ চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।