ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হেল্প পোস্ট

জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইদ্রিস মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. ইদ্রিস মিয়া (৪০) মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর্থিক সংকটে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অন্যের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করেই কোনোমতে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন তিনি। ইদ্রিস মিয়ার বাড়ি রামগতি উপজেলার, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে, জমিদারহাট বাজারের পশ্চিম পাশে, খাইল্লাগো বাড়ি ।

জন্মের পর থেকেই চোখে দেখতে পান না ইদ্রিস। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তার ছোট সংসার। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি স্থানীয় জমিদারহাট বাজারে একটি পাবলিক টয়লেট পরিচালনা করতেন। সেই টয়লেট থেকে সামান্য যা আয় হতো, তা দিয়েই কোনোমতে তার পরিবারের খাবার জুটতো।

সম্প্রতি ইদ্রিস মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এরপর ধার-দেনা ও নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা দিয়ে প্রথম ধাপের চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এখন দ্বিতীয় ধাপের চিকিৎসা, অর্থাৎ কেমোথেরাপি, অপারেশন এবং রেডিওথেরাপির জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। পরিবারের পক্ষে এই বিশাল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

মানুষের সামান্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি পারে একজন জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জীবন বাঁচানোর আশা জাগাতে। এমন পরিস্থিতিতে ইদ্রিস মিয়ার চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার ও স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে পাঁচ বছরেই নতুন বাংলাদেশ হবে -ড. শফিকুর রহমান

হেল্প পোস্ট

জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইদ্রিস মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত

আপডেট সময় ০৯:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. ইদ্রিস মিয়া (৪০) মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর্থিক সংকটে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অন্যের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করেই কোনোমতে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন তিনি। ইদ্রিস মিয়ার বাড়ি রামগতি উপজেলার, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে, জমিদারহাট বাজারের পশ্চিম পাশে, খাইল্লাগো বাড়ি ।

জন্মের পর থেকেই চোখে দেখতে পান না ইদ্রিস। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তার ছোট সংসার। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি স্থানীয় জমিদারহাট বাজারে একটি পাবলিক টয়লেট পরিচালনা করতেন। সেই টয়লেট থেকে সামান্য যা আয় হতো, তা দিয়েই কোনোমতে তার পরিবারের খাবার জুটতো।

সম্প্রতি ইদ্রিস মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এরপর ধার-দেনা ও নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা দিয়ে প্রথম ধাপের চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এখন দ্বিতীয় ধাপের চিকিৎসা, অর্থাৎ কেমোথেরাপি, অপারেশন এবং রেডিওথেরাপির জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। পরিবারের পক্ষে এই বিশাল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

মানুষের সামান্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি পারে একজন জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জীবন বাঁচানোর আশা জাগাতে। এমন পরিস্থিতিতে ইদ্রিস মিয়ার চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার ও স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীরা।