ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাত পোহালেই মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল Logo বাংলা গানে অভিষেক রাহাত ফাতেহ আলী খানের Logo দারুণভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়ে হকি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব নিশ্চিত করল বাংলাদেশ Logo ঈদে মিলাদুন্নবী: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা Logo ৭ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ Logo ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাবির প্রবেশ পথ Logo পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশ Logo পিআরের দাবি মানার পরেই নির্বাচনে যাব: গোলাম পরওয়ার Logo ‘দেশে এখন তো সংবিধানই নেই, তাহলে কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন’ প্রশ্ন আবু হেনা রাজ্জাকীর Logo ‘মোদি চোর, বিজেপি চোর, অমিত শাহ চোর’ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘শিবিরের বাচ্চাদের রাজনীতি করতে দেব না’ বিউলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ জবি শিবিরের

আগামী নির্বাচনের পর কোনো ‘শিবিরের বাচ্চা’কে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়ালের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, রবিউলের মন্তব্য আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী।

তারা অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দমন করার নোংরা অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুপন্তি রত্নাও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রতিফলন।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তার জায়গা সেখানে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

অবশেষে তারা রবিউল আউয়ালের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘নারী নিপীড়ন ও অবস্থান কর্মসূচী’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা সেই কালচার আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। যাদের বাপ-দাদারা ১৯৭১ সালে এ দেশে পরাজিত হয়েছে, মাথা নত করে পালিয়ে গেছে। আমরা আশাবাদি সামনের নির্বাচনের পরে তারাও লেজগুটিয়ে পালিয়ে যাবে। এ দেশের মাটিতে আর কোনো পাকিস্তানি কায়েম হতে দেব না। কোনো রাজাকারের বাচ্চাকে স্টাবলিশ হতে দেব না। কোনো শিবিরের বাচ্চাকে এ দেশে রাজনীতি করতে দেব না।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাত পোহালেই মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল

‘শিবিরের বাচ্চাদের রাজনীতি করতে দেব না’ বিউলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ জবি শিবিরের

আপডেট সময় ০৪:০৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী নির্বাচনের পর কোনো ‘শিবিরের বাচ্চা’কে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়ালের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, রবিউলের মন্তব্য আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী।

তারা অভিযোগ করেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দমন করার নোংরা অপচেষ্টা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুপন্তি রত্নাও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের প্রতিফলন।

শিবির নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে মতপ্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তার জায়গা সেখানে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

অবশেষে তারা রবিউল আউয়ালের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘নারী নিপীড়ন ও অবস্থান কর্মসূচী’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনদের যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা সেই কালচার আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। যাদের বাপ-দাদারা ১৯৭১ সালে এ দেশে পরাজিত হয়েছে, মাথা নত করে পালিয়ে গেছে। আমরা আশাবাদি সামনের নির্বাচনের পরে তারাও লেজগুটিয়ে পালিয়ে যাবে। এ দেশের মাটিতে আর কোনো পাকিস্তানি কায়েম হতে দেব না। কোনো রাজাকারের বাচ্চাকে স্টাবলিশ হতে দেব না। কোনো শিবিরের বাচ্চাকে এ দেশে রাজনীতি করতে দেব না।”