ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আমি যে ছাত্রীসংস্থা নই, এটা প্রমাণে কি ঘন ঘন হিজাব ছাড়া ছবি আপলোড দিতে হবে?

প্রচারপত্রে মুখ ঢাকা ছবি যুক্ত করায় ছাত্রী সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবি করে তাকে ভোট না দেওয়ার প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আবেগগন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনে শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী (২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী) স্মৃতি আফরোজ সুমি।

তিনি প্রশ্ন করে বলেছেন, আমি যে ছাত্রীসংস্থা নই, এটা প্রমাণ করার জন্য এখন ফেসবুকে ঘনঘন হিজাব ছাড়া শাড়ি পরা ছবি আপলোড দিতে হবে?

আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সুমি ফেসবুকে লিখেন, অফিসিয়াল প্রচারণা শুরু করলাম আজ। রুমে রুমে গিয়ে বুঝতে পারলাম কে বা কাহারা নিজের ভোট চাইতে গিয়ে আমার ব্যাপারে সাবধান করে আসছে ভোট না দিতে। কারণ পোস্টারে আমি মুখ ঢাকা ছবি দিয়েছি, ছাত্রীসংস্থা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রগতিশীলদের কিছু ভোটও নাকি কাটা যাচ্ছে এজন্য। প্রচারণা শেষ করে রুমে এসে কিছুক্ষণ ভাবলাম। মনে হলো, আমি যে ছাত্রীসংস্থা নই এটা প্রমাণ করার জন্য এখন ফেসবুকে ঘনঘন হিজাব ছাড়া শাড়ি পরা ছবি আপলোড দিতে হবে কিনা?

তিনি লেখেন, প্রথমে খারাপ লাগছিলো মানুষের এমন মন মানসিকতা দেখে, পরে মনে পড়লো আরে ডাকসু তো এক বছরের। আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম, স্কুলে যেমন ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক মুসলিম হিসেবে হিজাব আমার জন্য বাধ্যতামূলক। এই বোধ এবং হেদায়েত দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যখন হিজাব করতাম না, তখনও কখনও অশালীনভাবে চলাফেরা করিনি। লাগবে না আমার ডাকসু, লাগবে না ভিপি হওয়া। এতকাল ভিপি না থেকেও মানুষের জন্য, হলের জন্য কাজ করে গিয়েছি, সামনেও করবো।

সুমি আরও লিখেছেন, পেছনে এই যে নোংরামিগুলো যারা সার্ভ করছেন, ট্যাগিং করছেন, নিজের ভোট চাওয়ার বিপরীতে অন্যের ভোট কমানোর এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছেন দিনশেষে আপনাদের প্রাপ্তি বলতে বড়জোর ডাকসুর একটা পদই তো, এর বাইরে কোনো প্রাপ্তি আছে? নিজেকে প্রশ্ন করেন তো এরকম নেগেটিভিটি ছড়িয়ে আপনি কি মানুষের কাছে খুব সম্মানীয় হচ্ছেন?

ফেসবুক স্ট্যাটাসটির কমেন্টে স্মৃতি আফরোজ সুমি লেখেন, আমার জন্য দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যাদের সাথে আমি ২০১৯ সাল থেকে চলাফেরা করে আসছি, কাছের মানুষ ভেবে আসছি, যারা আমাকে সবথেকে ভালো বুঝে কেবল তাদের ‘হ্যাঁ’ তে ‘হ্যাঁ’ আর না তে না বলিনাই বলে তারাও এই ট্যাগিংয়ে অংশ নিয়েছে। ছাত্রীসংস্থা খারাপ কিছু নয়, আমি ছাত্রীসংস্থার হলে সাহস নিয়ে সেটা প্রচার করতাম। কিন্তু আমি যেটা না সেটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া এক ধরণের অপবাদ। আর এই অপবাদের জন্য আমি আপনাদের ক্ষমা করলাম না, কেয়ামতের দিন এর জবাবদিহিতা চাইবো আপনাদের থেকে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

আমি যে ছাত্রীসংস্থা নই, এটা প্রমাণে কি ঘন ঘন হিজাব ছাড়া ছবি আপলোড দিতে হবে?

আপডেট সময় ০২:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

প্রচারপত্রে মুখ ঢাকা ছবি যুক্ত করায় ছাত্রী সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবি করে তাকে ভোট না দেওয়ার প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আবেগগন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডাকসু নির্বাচনে শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী (২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী) স্মৃতি আফরোজ সুমি।

তিনি প্রশ্ন করে বলেছেন, আমি যে ছাত্রীসংস্থা নই, এটা প্রমাণ করার জন্য এখন ফেসবুকে ঘনঘন হিজাব ছাড়া শাড়ি পরা ছবি আপলোড দিতে হবে?

আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সুমি ফেসবুকে লিখেন, অফিসিয়াল প্রচারণা শুরু করলাম আজ। রুমে রুমে গিয়ে বুঝতে পারলাম কে বা কাহারা নিজের ভোট চাইতে গিয়ে আমার ব্যাপারে সাবধান করে আসছে ভোট না দিতে। কারণ পোস্টারে আমি মুখ ঢাকা ছবি দিয়েছি, ছাত্রীসংস্থা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রগতিশীলদের কিছু ভোটও নাকি কাটা যাচ্ছে এজন্য। প্রচারণা শেষ করে রুমে এসে কিছুক্ষণ ভাবলাম। মনে হলো, আমি যে ছাত্রীসংস্থা নই এটা প্রমাণ করার জন্য এখন ফেসবুকে ঘনঘন হিজাব ছাড়া শাড়ি পরা ছবি আপলোড দিতে হবে কিনা?

তিনি লেখেন, প্রথমে খারাপ লাগছিলো মানুষের এমন মন মানসিকতা দেখে, পরে মনে পড়লো আরে ডাকসু তো এক বছরের। আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম, স্কুলে যেমন ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক মুসলিম হিসেবে হিজাব আমার জন্য বাধ্যতামূলক। এই বোধ এবং হেদায়েত দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যখন হিজাব করতাম না, তখনও কখনও অশালীনভাবে চলাফেরা করিনি। লাগবে না আমার ডাকসু, লাগবে না ভিপি হওয়া। এতকাল ভিপি না থেকেও মানুষের জন্য, হলের জন্য কাজ করে গিয়েছি, সামনেও করবো।

সুমি আরও লিখেছেন, পেছনে এই যে নোংরামিগুলো যারা সার্ভ করছেন, ট্যাগিং করছেন, নিজের ভোট চাওয়ার বিপরীতে অন্যের ভোট কমানোর এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছেন দিনশেষে আপনাদের প্রাপ্তি বলতে বড়জোর ডাকসুর একটা পদই তো, এর বাইরে কোনো প্রাপ্তি আছে? নিজেকে প্রশ্ন করেন তো এরকম নেগেটিভিটি ছড়িয়ে আপনি কি মানুষের কাছে খুব সম্মানীয় হচ্ছেন?

ফেসবুক স্ট্যাটাসটির কমেন্টে স্মৃতি আফরোজ সুমি লেখেন, আমার জন্য দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যাদের সাথে আমি ২০১৯ সাল থেকে চলাফেরা করে আসছি, কাছের মানুষ ভেবে আসছি, যারা আমাকে সবথেকে ভালো বুঝে কেবল তাদের ‘হ্যাঁ’ তে ‘হ্যাঁ’ আর না তে না বলিনাই বলে তারাও এই ট্যাগিংয়ে অংশ নিয়েছে। ছাত্রীসংস্থা খারাপ কিছু নয়, আমি ছাত্রীসংস্থার হলে সাহস নিয়ে সেটা প্রচার করতাম। কিন্তু আমি যেটা না সেটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া এক ধরণের অপবাদ। আর এই অপবাদের জন্য আমি আপনাদের ক্ষমা করলাম না, কেয়ামতের দিন এর জবাবদিহিতা চাইবো আপনাদের থেকে।