ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

নেত্রকোনায় অফিসে বসে খালি গায়ে মদপান পৌর সচিবের

নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ পৌরসভার অফিসে বসে প্রকাশ্যে মদপান করার অভিযোগ উঠেছে পৌর সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (২০ নভেম্বর) অফিস চলাকালীন সময়ে শৈবাল চন্দ্র সাহার অফিস কক্ষেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভার সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহা প্রায়ই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অফিসে মদপান করে থাকেন। সোমবারও অফিস কক্ষে বসে এমন কাজ করার সময় পৌর শহরের সেবা গৃহীতারা সেখানে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মদের বোতল লুকানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তার মদপানের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে। পরর্বতীতে এমন ঘটনা থেকে প্রতিকারের আশায় সেই সচিবের মদ্যপরত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সানা উল্লাহসহ অনেকেই জানান, আমি একটা কাগজ স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। মেয়র ঢাকায় ছিলেন। অফিসে এসে দেখি এই লোক (শৈবাল চন্দ্র সাহা) মদপান করছেন। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময় আমি সহ অন্যান্য সেবাগৃহীতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, শৈবাল চন্দ্র সাহা ২০১২ সাল থেকে মোহনগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। শুরু থেকেই স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরি করার কারণে তার খারাপ আচরণের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।

অভিযুক্ত শৈবাল চন্দ্র সাহা জানান, আমি মদপান করি না। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন জানান, অফিসে খালি গায়ে বসে মদপানের বিষয়টি শুনেছি, এটি খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়াও তার ব্যাপারে অফিস স্টাফদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সংশোধনের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘটনার পর থেকে তিনি অফিসেই আসেননি। ইতোমধ্যে সব কাউন্সিলরকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় সচিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

নেত্রকোনায় অফিসে বসে খালি গায়ে মদপান পৌর সচিবের

আপডেট সময় ০৭:২০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ পৌরসভার অফিসে বসে প্রকাশ্যে মদপান করার অভিযোগ উঠেছে পৌর সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (২০ নভেম্বর) অফিস চলাকালীন সময়ে শৈবাল চন্দ্র সাহার অফিস কক্ষেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভার সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহা প্রায়ই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অফিসে মদপান করে থাকেন। সোমবারও অফিস কক্ষে বসে এমন কাজ করার সময় পৌর শহরের সেবা গৃহীতারা সেখানে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মদের বোতল লুকানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তার মদপানের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে। পরর্বতীতে এমন ঘটনা থেকে প্রতিকারের আশায় সেই সচিবের মদ্যপরত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সানা উল্লাহসহ অনেকেই জানান, আমি একটা কাগজ স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। মেয়র ঢাকায় ছিলেন। অফিসে এসে দেখি এই লোক (শৈবাল চন্দ্র সাহা) মদপান করছেন। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময় আমি সহ অন্যান্য সেবাগৃহীতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, শৈবাল চন্দ্র সাহা ২০১২ সাল থেকে মোহনগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। শুরু থেকেই স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরি করার কারণে তার খারাপ আচরণের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।

অভিযুক্ত শৈবাল চন্দ্র সাহা জানান, আমি মদপান করি না। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন জানান, অফিসে খালি গায়ে বসে মদপানের বিষয়টি শুনেছি, এটি খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়াও তার ব্যাপারে অফিস স্টাফদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সংশোধনের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘটনার পর থেকে তিনি অফিসেই আসেননি। ইতোমধ্যে সব কাউন্সিলরকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় সচিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।