ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ম্যানসিটি থেকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন গার্দিওলা শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবের ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে , ‘প্রাণের অস্তিত্ব নেই’ টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি যে কারণে হয় মরণ ব্যাধি রোগ ক্যান্সার সিরাজগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ পরিবারকে জামায়াতের নগদ অর্থ সহযোগিতা প্রদান বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে : ওবায়দুল কাদের জবির সেই অবন্তিকা স্নাতকে ব্যাচের তৃতীয় ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে

নেত্রকোনায় অফিসে বসে খালি গায়ে মদপান পৌর সচিবের

নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ পৌরসভার অফিসে বসে প্রকাশ্যে মদপান করার অভিযোগ উঠেছে পৌর সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (২০ নভেম্বর) অফিস চলাকালীন সময়ে শৈবাল চন্দ্র সাহার অফিস কক্ষেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভার সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহা প্রায়ই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অফিসে মদপান করে থাকেন। সোমবারও অফিস কক্ষে বসে এমন কাজ করার সময় পৌর শহরের সেবা গৃহীতারা সেখানে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মদের বোতল লুকানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তার মদপানের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে। পরর্বতীতে এমন ঘটনা থেকে প্রতিকারের আশায় সেই সচিবের মদ্যপরত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সানা উল্লাহসহ অনেকেই জানান, আমি একটা কাগজ স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। মেয়র ঢাকায় ছিলেন। অফিসে এসে দেখি এই লোক (শৈবাল চন্দ্র সাহা) মদপান করছেন। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময় আমি সহ অন্যান্য সেবাগৃহীতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, শৈবাল চন্দ্র সাহা ২০১২ সাল থেকে মোহনগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। শুরু থেকেই স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরি করার কারণে তার খারাপ আচরণের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।

অভিযুক্ত শৈবাল চন্দ্র সাহা জানান, আমি মদপান করি না। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন জানান, অফিসে খালি গায়ে বসে মদপানের বিষয়টি শুনেছি, এটি খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়াও তার ব্যাপারে অফিস স্টাফদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সংশোধনের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘটনার পর থেকে তিনি অফিসেই আসেননি। ইতোমধ্যে সব কাউন্সিলরকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় সচিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ম্যানসিটি থেকে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন গার্দিওলা

নেত্রকোনায় অফিসে বসে খালি গায়ে মদপান পৌর সচিবের

আপডেট সময় ০৭:২০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ পৌরসভার অফিসে বসে প্রকাশ্যে মদপান করার অভিযোগ উঠেছে পৌর সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সোমবার (২০ নভেম্বর) অফিস চলাকালীন সময়ে শৈবাল চন্দ্র সাহার অফিস কক্ষেই এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ উঠেছে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভার সচিব শৈবাল চন্দ্র সাহা প্রায়ই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অফিসে মদপান করে থাকেন। সোমবারও অফিস কক্ষে বসে এমন কাজ করার সময় পৌর শহরের সেবা গৃহীতারা সেখানে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মদের বোতল লুকানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তার মদপানের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে। পরর্বতীতে এমন ঘটনা থেকে প্রতিকারের আশায় সেই সচিবের মদ্যপরত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সানা উল্লাহসহ অনেকেই জানান, আমি একটা কাগজ স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। মেয়র ঢাকায় ছিলেন। অফিসে এসে দেখি এই লোক (শৈবাল চন্দ্র সাহা) মদপান করছেন। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময় আমি সহ অন্যান্য সেবাগৃহীতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, শৈবাল চন্দ্র সাহা ২০১২ সাল থেকে মোহনগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে কর্মরত আছেন। শুরু থেকেই স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকরি করার কারণে তার খারাপ আচরণের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।

অভিযুক্ত শৈবাল চন্দ্র সাহা জানান, আমি মদপান করি না। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন জানান, অফিসে খালি গায়ে বসে মদপানের বিষয়টি শুনেছি, এটি খুবই দুঃখজনক। এ ছাড়াও তার ব্যাপারে অফিস স্টাফদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সংশোধনের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘটনার পর থেকে তিনি অফিসেই আসেননি। ইতোমধ্যে সব কাউন্সিলরকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। সভায় সচিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।