মৌলভীবাজার জেলায় ‘আপ বাংলাদেশ’ এর ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শিবলু আহমদ এবং সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার নাঈম কিবরিয়া।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আপ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন,যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুম আহমদ ও পাপিয়া মইনু তমা। যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ মুন্না, জুনেদ আহমদ জিহাদী, শেখ আমিরুন্নেছা আলো, সাহেদ আহমদ ও আকরাম হোসেন জনি।
এছাড়াও কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন ইমন আশরাফ, শাহ রজব, শাহিন মিয়া, সালেহ আহমদ, রেজাউল করিম তারেক, রুহুল আমিন, আল আবিদ, আব্দুর রহিম, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, আজমির আলী মিতু, খালেদ হোসেন, হাফেজ ইয়াকুব আলী, সুরাইয়া জাহান সিজা, শেখ মোতাসিম, শাহ আলম, আব্দুল্লাহ আল মোহাইমিন রমি, হাসানুল বান্না সজীব, নাঈম আহমদ, আব্দুর রহমান শাফি, মোঃ সামাদ মিয়া, শেখ খালিদ বিন জালাল, মোঃ খালেদ আহমদ, জিহাদুর রহমান, তারেক আহমদ, ইমন হোসেন, আম্মার ইসলাম নাহিদ, হোসাইন আহমদ, নাহিদ আহমদ, অলি আহমদ, আলম হোসেন, মোঃ ফখরুল ইসলাম, মোঃ এহসানুল আমিন ইজাজ, মাহমুদুল হাসান রাকিব, শাকিল আহমদ, তারেক আহমদ, ডলি আক্তার, জাহেদা জান্নাত মনিরা, বন্না সূত্র ধর, আনিছা খানম, জাকারিয়া আহমদ, জুয়েল আহমদ, যিশু দাস, মোঃ শাহেদ মিয়া, সুমি আক্তার মিম, সানজিদা চৌধুরী ও ফাতেমা আক্তার জুই।
নতুন এই রাজনৈতিক দলটি তাদের মূল শক্তি হিসেবে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উল্লেখ করেছে। দলের নেতারা মনে করেন, এই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তি যেকোনো স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে সক্ষম। আপ বাংলাদেশ বিশ্বাস করে জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফসল। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের একক নেতৃত্বে সংঘটিত হয়নি, বরং ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক-কৃষক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। এই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই জনগণের মধ্যে দুর্নীতি ও সুশাসনের প্রতি যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপ বাংলাদেশ সেই আকাঙ্ক্ষাকেই রাজনৈতিকভাবে রূপ দিতে চায়। ‘আপ বাংলাদেশ’ মূলত কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। দলটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশে একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তারা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, আইনের শাসন বজায় রাখতে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর। এছাড়াও, আপ বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দেয়, যার মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সবার জন্য সমান অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করা অন্তর্ভুক্ত। তারা কৃষকদের ন্যায্য অধিকার এবং শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির পক্ষে কাজ করবে। পাশাপাশি, দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কাজ করা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাও তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
কমিটি ঘোষণার পর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই নতুন দলে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তরুণ, পেশাজীবী এবং ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দলের নেতাদের মতে, আপ বাংলাদেশের দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারই মানুষকে এই দলে আকৃষ্ট করছে।
একইসাথে, কমিটি মৌলভীবাজার জেলার সকল সচেতন নাগরিককে আপ বাংলাদেশের সদস্য হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে চান এবং একটি উন্নত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক, তারা আপ বাংলাদেশের সদস্য হতে পারেন।