আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এ ক্লাস রুম সংকট নিরসন,ল্যাব স্থাপন সহ ৭ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারক লিপি দিয়েছে কুরআনিক সাইন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকা থেকে শিক্ষার্থীরা ডিপার্টমেন্টের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।
তারা বলেন, কুরআনিক সাইন্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ও সুপরিচিত ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু সেই ডিপার্টমেন্ট আজ নানাভাবে বঞ্চনার শিকার। যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম নেই তার উপর IT ও CGED এর জন্য পুরো একটা ফ্লোর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।যা খুবই আপত্তিকর। অন্য ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং এ গিয়ে ক্লাস করতে হয়, এ জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
তারা জানান,সবার জন্য মানসম্মত ল্যাব স্থাপনের কথা থাকলেও তা এখনো দৃশ্যমান নয়।যার কারণে তাদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান ক্লাসরুম গুলোর নানা অব্যবস্থাপনা সত্বেও কার্যকর কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এসময় মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ বিনির্মানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, ল্যাব ও ক্লাসরুম সংকট নিয়ে বারবার সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। তাই আমাদের এই পথ বেচে নিতে হয়েছে।
পরে সবাই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কুরআনিক সাইন্স ক্লাবের জিএস আব্দুর রহমান, এজিএস মাইনুল ইসলাম, এজিএস 2 সাইফুল্লাহ মাহমুদ, অফিস সম্পাদক বদরুল মুনির মারুফ, সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুল কাদের সহ একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্য বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করে।
স্বারকলিপি প্রদান শেষে কুরআনিক সাইন্স ক্লাবের প্রাক্তন জিএস বায়জিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ভিসি স্যারের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরেছি,স্যার আমাদের কথা শুনেছেন এবং একটা কমিটি করে দিয়েছেন।তারা বসে আগামীকালের মধ্যে তাদের কাজের আপডেট জানাবে।তারপর আমরা ক্লাসে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।
এসময় এই যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে কুরআনিক সাইন্স ডিপার্টমেন্টের সকল সেমিষ্টার একসাথে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহঃ
১. কুরআনিক সায়েন্সেস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নিজস্ব ভবন থেকে অত্র বিভাগ বহির্ভূত সকল প্রকার অফিস অপসারণ করে, সম্পূর্ণ শ্রেণীকক্ষ বরাদ্দ নিজস্ব ভবনেই বিরাদ্দ দিতে হবে।
২. QSIS ভবনে শ্রেণীকক্ষ বরাদ্দের পর, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম সংকুলন না হলে, বাকি ক্লাস রুম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল পয়েন্টেই স্থাপন করতে হবে।
৩. CGED অফিস এবং IT অফিস দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে।
৪. জরুরী ভিত্তিতে মানসম্মত ল্যাব স্থাপন করতে হবে।
৫. শিক্ষার মান রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ন্যায় পুনরায় Level semester চালু রাখতে হবে ।
৫. শিক্ষকদের মানসম্নত অফিস নিশ্চিত করতে হবে।
৬. মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এর মাধ্যমে শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. আগামী ৩১/০৮/২০২৫ ইং তারিখ রবিবারের মধ্যেই এই সকল সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। (নতুবা ছাত্ররা ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিপার্টমেন্টের স্বার্থ রক্ষায় যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যেকোন অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য থাকবে)।