ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প Logo জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo এবার শাপলা প্রতীকের আরেক দাবিদারের আবেদন ইসিতে Logo ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত আনচেলত্তি Logo শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ৭ কলেজের আন্দোলন স্থগিত Logo স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা Logo ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জায়গা থাকবে না’ Logo ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাবনা Logo বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম Logo পুলিশ ফ্যাসিবাদী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে-সাদিক কায়েম

জবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু হবে ১ সেপ্টেম্বর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) একাডেমিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু হতে যাচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের কাছে আজ এ ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ চেয়ারম্যানদের এক্সেস প্রদান করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এক্সেস দেওয়া হবে।

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “এটি আলাদা কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই একটি আলাদা সাইট তৈরি করা হয়েছে যেখানে বিভাগের চেয়ারম্যান ও সুনির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে পারবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান বলেন, “এই সিস্টেম অবশ্যই শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু এটি একটু সংশোধন করা প্রয়োজন ছিল। অনেক শিক্ষকের পরপর দুটি বা তিনটি ক্লাস থাকলে সময় ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হতে পারে। আবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একই কাজ খাতা-কলম ও অনলাইনে দুই জায়গায় করতে হবে। এতে শিক্ষকদের কাজ কিছুটা বেড়েছে। অনলাইনে করার ক্ষেত্রে যারা সিনিয়র শিক্ষক আছেন, তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা হলেও জুনিয়র বা তরুণ শিক্ষকদের জন্য সমস্যা হবে না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক বলেন, “পরীক্ষা মনিটরিংয়ের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। এর ফলে পরীক্ষার ফলাফল সময়মতো দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। একই সাথে বিভাগের সেশনজটও অনেকাংশে লাঘব হবে। দ্বিতীয়ত, ক্লাস মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সেকশনে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। অনেক শিক্ষক এ বিষয়ে কিছুটা অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। তারপরও যেহেতু নতুন একটি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, দেখা যাক কতটুকু সুফল পাওয়া যায়।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বাধার মুখে ট্রাম্প

জবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু হবে ১ সেপ্টেম্বর

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) একাডেমিক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু হতে যাচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের কাছে আজ এ ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ চেয়ারম্যানদের এক্সেস প্রদান করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এক্সেস দেওয়া হবে।

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “এটি আলাদা কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই একটি আলাদা সাইট তৈরি করা হয়েছে যেখানে বিভাগের চেয়ারম্যান ও সুনির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে পারবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান বলেন, “এই সিস্টেম অবশ্যই শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু এটি একটু সংশোধন করা প্রয়োজন ছিল। অনেক শিক্ষকের পরপর দুটি বা তিনটি ক্লাস থাকলে সময় ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হতে পারে। আবার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একই কাজ খাতা-কলম ও অনলাইনে দুই জায়গায় করতে হবে। এতে শিক্ষকদের কাজ কিছুটা বেড়েছে। অনলাইনে করার ক্ষেত্রে যারা সিনিয়র শিক্ষক আছেন, তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা হলেও জুনিয়র বা তরুণ শিক্ষকদের জন্য সমস্যা হবে না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক বলেন, “পরীক্ষা মনিটরিংয়ের বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। এর ফলে পরীক্ষার ফলাফল সময়মতো দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। একই সাথে বিভাগের সেশনজটও অনেকাংশে লাঘব হবে। দ্বিতীয়ত, ক্লাস মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সেকশনে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। অনেক শিক্ষক এ বিষয়ে কিছুটা অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। তারপরও যেহেতু নতুন একটি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, দেখা যাক কতটুকু সুফল পাওয়া যায়।”