জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত মে মাসে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্রলীগকে।
ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে দলটির বড় এবং মধ্যম সারির অনেক নেতাও পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। ফলে কার্যত ভারতে বসেই আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
৫ আগস্টের পর মাঠে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুব একটা দেখা না গেলেও সামাজিক মাধ্যমে সরব রয়েছেন অনেকেই। বর্তমান সরকারবিরোধী পোস্ট থেকে শুরু করে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে দলটির বিভিন্ন পেজ থেকে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড অফিসিয়াল পেজটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয়।
আওয়ামী লীগের এই পেজটি খোলা হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট। বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আটটি অ্যাকাউন্ট থেকে। যার মধ্যে পাঁচটি অ্যাকাউন্টের অবস্থান বাংলাদেশে, আর বাকি তিনটির অবস্থান ভারতে। মেটার অ্যাড লাইব্রেরির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পেজটিও বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি ও ভারত থেকে একটি অ্যাকাউন্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই ফেসবুক পেজটি খোলা হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৬ মে। ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোর পেজগুলোতে অনেক পেইড অ্যাড দেখা গেলেও বর্তমানে মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে কোনও ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে না।