ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই- জামালপুরে সারজিস আলম Logo এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৬ অক্টোবর,যে ভাবে দেখবেন Logo ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “সমাবর্তন” অনুষ্ঠান Logo ঢাবির ছাত্রাবাসের সামনে সংঘর্ষ, নেপথ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল কর্মীর দোকান Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় একদিনে নিহত ৬৩ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মানবিক সহায়তা নিতে আসা ২২ জনও ছিলেন। এছাড়া একইদিনে উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি জনায়, গাজাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির ভেতরে আরও গভীরে প্রবেশ করছে। শহরটি দখল ও প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে জোরপূর্বক উৎখাত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে তারা।

শনিবার আল জাজিরা অ্যারাবিক যে ফুটেজ পেয়েছে তাতে দেখা যায়, ইসরাইলি ট্যাংক গাজা সিটির সাবরা এলাকায় প্রবেশ করছে। এটি সামরিক স্থল অভিযানের আরও বিস্তৃত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সাবরা এলাকার কাছেই অবরুদ্ধ জায়তুন পাড়া। এই এলাকাটিকেই গত এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলি বাহিনী বারবার হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে। গাজার আল-আহলি হাসপাতালের এক সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, সাবরায় সর্বশেষ ইসরাইলি বিমান হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তর-পশ্চিমে আসদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর আশ্রয় নেওয়া তাবুতে গোলাবর্ষণ করে ইসরাইল। এতে ছয় শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। এর মধ্যে খান ইউনিসের দক্ষিণ-পূর্বে একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হন। এছাড়া ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত নেটজারিম করিডরের কাছে সাহায্য নিতে গিয়ে আরেকজন বেসামরিক নাগরিক গুলিতে মারা যান।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজন — এর মধ্যে দুই শিশু — অপুষ্টির কারণে মারা গেছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮১ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, মৃতদের মধ্যে ১১৪ জন শিশু।

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধা নিঃশব্দে বেসামরিক মানুষের দেহকে ক্ষতবিক্ষত করছে, শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, আর প্রতিদিন তাবু ও হাসপাতালগুলোকে ট্র্যাজেডির দৃশ্যে পরিণত করছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই- জামালপুরে সারজিস আলম

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় একদিনে নিহত ৬৩ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ১০:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মানবিক সহায়তা নিতে আসা ২২ জনও ছিলেন। এছাড়া একইদিনে উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি জনায়, গাজাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির ভেতরে আরও গভীরে প্রবেশ করছে। শহরটি দখল ও প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে জোরপূর্বক উৎখাত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে তারা।

শনিবার আল জাজিরা অ্যারাবিক যে ফুটেজ পেয়েছে তাতে দেখা যায়, ইসরাইলি ট্যাংক গাজা সিটির সাবরা এলাকায় প্রবেশ করছে। এটি সামরিক স্থল অভিযানের আরও বিস্তৃত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সাবরা এলাকার কাছেই অবরুদ্ধ জায়তুন পাড়া। এই এলাকাটিকেই গত এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলি বাহিনী বারবার হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে। গাজার আল-আহলি হাসপাতালের এক সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, সাবরায় সর্বশেষ ইসরাইলি বিমান হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকালে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তর-পশ্চিমে আসদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর আশ্রয় নেওয়া তাবুতে গোলাবর্ষণ করে ইসরাইল। এতে ছয় শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হন বলে চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। এর মধ্যে খান ইউনিসের দক্ষিণ-পূর্বে একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হন। এছাড়া ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত নেটজারিম করিডরের কাছে সাহায্য নিতে গিয়ে আরেকজন বেসামরিক নাগরিক গুলিতে মারা যান।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজন — এর মধ্যে দুই শিশু — অপুষ্টির কারণে মারা গেছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮১ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, মৃতদের মধ্যে ১১৪ জন শিশু।

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধা নিঃশব্দে বেসামরিক মানুষের দেহকে ক্ষতবিক্ষত করছে, শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, আর প্রতিদিন তাবু ও হাসপাতালগুলোকে ট্র্যাজেডির দৃশ্যে পরিণত করছে।’