ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসু নির্বাচনে শিবিরের প‍্যানেল ঘোষণা, ভিপি আরিফুল্লাহ, জিএস মাজহার Logo ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না’ Logo সাদাপাথর লুটে সম্পৃক্ত ৫২ ব্যক্তির নাম প্রকাশ দুদকের Logo নিউজ কাভারে পুলিশি বাধা, লকাবে সাংবাদিক Logo হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাইদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি অভিযোগ Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতার উপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামী নেতা গ্রেপ্তার Logo কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতার উপর ছাত্রদলের হামলা Logo আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিচার শুরু Logo হঠৎ সিএনজি পাম্পে বিস্ফোরণ, ১০ গাড়ি পুড়ে ছাই Logo ভোটের মাঠে জোটের ইঙ্গিত বিএনপির

নিউজ কাভারে পুলিশি বাধা, লকাবে সাংবাদিক

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার সামনে বুধবার সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় তারা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বিঘ্ন হয়।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিনের বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা দ্রুত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান এবং সময়মতো দাবি না মানলে কর্মবিরতি ও অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহে থাকা যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মাসুম ও আজকের পত্রিকার আব্দুল কাইয়ুম ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ তাদের বাঁধা দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ও বুম কেড়ে নেন এবং সংবাদ সংগ্রহে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মাসুমকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে থানার লকাপে আটক রাখা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি মাসুম বলেন, আমরা শুধু শ্রমিক আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি বিনা কারণে আমাদের বাঁধা দেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে লকাপে আটকে রাখেন। সাংবাদিককে এভাবে হেনস্থা করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। পরে বিষয়টি সহকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিএমপি পশ্চিম বিভাগের ডিসি কবির ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের লকাপ থেকে মুক্ত করেন। তবে এ বিষয়ে ওসি বাবুল আজাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে সংবাদ সংগ্রহ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাংবাদিককে কেবল প্রশ্ন করা বা সংবাদ কাভারের কারণে আটক করা অবৈধ আটক (ইলিগেল ডিটেনশন) হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া টরচার অ্যান্ড কাস্টডিয়াল ডেথ (প্রিভেনশন) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী বিনা অপরাধে থানার লকাপে রাখা বেআইনি এবং এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো। তারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাকসু নির্বাচনে শিবিরের প‍্যানেল ঘোষণা, ভিপি আরিফুল্লাহ, জিএস মাজহার

নিউজ কাভারে পুলিশি বাধা, লকাবে সাংবাদিক

আপডেট সময় ০৩:৩২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার সামনে বুধবার সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় তারা সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বিঘ্ন হয়।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিনের বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা দ্রুত বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান এবং সময়মতো দাবি না মানলে কর্মবিরতি ও অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহে থাকা যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মাসুম ও আজকের পত্রিকার আব্দুল কাইয়ুম ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ তাদের বাঁধা দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ও বুম কেড়ে নেন এবং সংবাদ সংগ্রহে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মাসুমকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে থানার লকাপে আটক রাখা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি মাসুম বলেন, আমরা শুধু শ্রমিক আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি বিনা কারণে আমাদের বাঁধা দেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে লকাপে আটকে রাখেন। সাংবাদিককে এভাবে হেনস্থা করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। পরে বিষয়টি সহকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিএমপি পশ্চিম বিভাগের ডিসি কবির ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের লকাপ থেকে মুক্ত করেন। তবে এ বিষয়ে ওসি বাবুল আজাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে সংবাদ সংগ্রহ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাংবাদিককে কেবল প্রশ্ন করা বা সংবাদ কাভারের কারণে আটক করা অবৈধ আটক (ইলিগেল ডিটেনশন) হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া টরচার অ্যান্ড কাস্টডিয়াল ডেথ (প্রিভেনশন) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী বিনা অপরাধে থানার লকাপে রাখা বেআইনি এবং এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনগুলো। তারা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।