গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে ঘিরে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিতর্কিতদের স্থান দেওয়ার অভিযোগে পদ বঞ্চিত নেতারা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিন দিন ধরে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন ও মশাল মিছিল করেছেন।
গত শনিবার রাতে পদ বঞ্চিতরা কলেজের প্রধান ফটকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরদিন রোববার বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, ছাত্রলীগের কর্মী, অনিয়মিত শিক্ষার্থী, এমনকি চারিত্রিক সমস্যায় জর্জরিতদের দিয়েও ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীদের দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার কলেজের ছাত্র সংসদ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পদ বঞ্চিতরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। তাদের দাবি, নবগঠিত কমিটিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রবিন সরদারের ঘনিষ্ঠরা এবং ছিনতাইকারীর মতো বিতর্কিত শিক্ষার্থীরা পদ পেয়েছেন।
সোমবার রাত দুইটার পরবর্তী সময়ে পদ বঞ্চিতরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন। তাঁদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে মহানগর ছাত্রদল নেতারা ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীকে কমিটিতে পদ দিয়েছেন। এমনকি বিবাহিত ও সন্তানের পিতা, অনিয়মিত শিক্ষার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।
এর আগে এক বিক্ষোভকারী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের লোকজনকে এখন কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাঁদেরকে আমরা ছাত্রলীগের মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখেছি। যারা জেল খেটেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না।’
ডিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সানোয়ারা সুলতানা বলেন, ‘যাদের আগে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে সক্রিয় দেখেছি, তাদের এখন ছাত্রদলের কর্মসূচিতেও দেখা যাচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদল সভাপতি মো. রোহানুজ্জামান বলেন, ‘কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁরা সবাই ছাত্রদলের কর্মী। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের অনেকেই অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন।’