ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতাকে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে থানা থেকে ছেঁড়ে দিলো পুলিশ

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা, চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি, নাজিম উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) কে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে রামগতি থানা থেকে ছেঁড়ে দিয়েছে পুলিশ।

“ঢাকা ভয়েস ” কে এমনটি জানিয়েছেন, রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব, ইরাজ মাহমুদ বাবু। তিনি বলেন, চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি, নাজি উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) ১৫ই আগস্ট কে কেন্দ্র করে রামগতিকে অস্থীতিশীল করার জন্য ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে গোপন বৈঠক করে। নাশকতা করার পরিকল্পনা করে নাজু দালাল সহ আরো কয়েক জন। আর এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। ঢাকা থেকে অস্ত্র নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে রামগতির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। গোপন সংবাদের মাধ্যমে এমনটি জানতে পেরেছেন রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইরাজ মাহমুদ বাবু। মাইক্রোবাসটি চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে আসার পথে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে ইরাজ মাহমুদ বাবু সহ ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। তাদেরকে দেখে মাইক্রোবাস থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় গাড়িতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় নাজি উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) কে ধরে পেলে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। রামগতি থানায় কল দিলে কল দেওয়ার ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে যান রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন। পরে চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি নাজুু দালাল কে রামগতি থানার ওসি কবির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। “ঢাকা ভয়েস ” কে এমনটি জানিয়েছেন রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইরাজ মাহমুদ বাবু।

ইরাজ মাহমুদ বাবু, এক বুক কষ্ট নিয়ে “ঢাকা ভয়েস” কে বলেন, চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজু দালাল কে থানায় দেওয়ার কারণে উপজেলা বিএনপির এক নেতা , থানায় বসে আমার বাবা-মা তুলে গালি দিয়েছে। আমি ইরাজ মাহমুদ বাবু (২০০৯-২০২৫) পর্যন্ত ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছি। এখনো ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত, রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) অভিযোগ অস্বীকার করে “ঢাকা ভয়েস ” কে বলেন, আমি ঢাকায় আমিন চেয়ারম্যান কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমিন চেয়ারম্যান ও তার বউ অসুস্থ তাই গিয়েছি। সোহেল চেয়ারম্যানও অসুস্থ তাই তার সাথে দেখা করেছি,সোহেল চেয়ারম্যান আমাকে কোন অস্ত্র দেয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বাস করেন আমি এবছর সোহেল চেয়ারম্যানের ভোট করিনি।
গণমাধ্যম কর্মীর এক প্রশ্নের জবাবে চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি, নাজিম উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) বলেন, সোহেল চেয়ারম্যানের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন “ঢাকা ভয়েস ” কে বলেন, নাজু দালালের ভাইদের সাথে বিএনপি নেতাদের সমঝোতা হয়েছে। বিএনপির রামগতি উপজেলা পর্যায়ের এক নেতা সুপারিশ করেছেন। তাই কোনো মামলা না হওয়ার কারণে থানা থেকে নাজিম উদ্দিন মেম্বার ( নাজু দালাল) কে ছেঁড়ে দিয়েছি।ওসি কবির হোসেন “ঢাকা ভয়েস” কে এমনটি জানিয়েছেন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তরুণ নেতৃত্বের জন্য জ্ঞান, দক্ষতা ও উত্তম চরিত্র অপরিহার্য – কেন্দ্রীয় সভাপতি

লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতাকে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে থানা থেকে ছেঁড়ে দিলো পুলিশ

আপডেট সময় ০৬:০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা, চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি, নাজিম উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) কে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে রামগতি থানা থেকে ছেঁড়ে দিয়েছে পুলিশ।

“ঢাকা ভয়েস ” কে এমনটি জানিয়েছেন, রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব, ইরাজ মাহমুদ বাবু। তিনি বলেন, চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি, নাজি উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) ১৫ই আগস্ট কে কেন্দ্র করে রামগতিকে অস্থীতিশীল করার জন্য ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে গোপন বৈঠক করে। নাশকতা করার পরিকল্পনা করে নাজু দালাল সহ আরো কয়েক জন। আর এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। ঢাকা থেকে অস্ত্র নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে রামগতির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। গোপন সংবাদের মাধ্যমে এমনটি জানতে পেরেছেন রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইরাজ মাহমুদ বাবু। মাইক্রোবাসটি চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে আসার পথে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে ইরাজ মাহমুদ বাবু সহ ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। তাদেরকে দেখে মাইক্রোবাস থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় গাড়িতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় নাজি উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) কে ধরে পেলে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। রামগতি থানায় কল দিলে কল দেওয়ার ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে যান রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন। পরে চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি নাজুু দালাল কে রামগতি থানার ওসি কবির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। “ঢাকা ভয়েস ” কে এমনটি জানিয়েছেন রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইরাজ মাহমুদ বাবু।

ইরাজ মাহমুদ বাবু, এক বুক কষ্ট নিয়ে “ঢাকা ভয়েস” কে বলেন, চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজু দালাল কে থানায় দেওয়ার কারণে উপজেলা বিএনপির এক নেতা , থানায় বসে আমার বাবা-মা তুলে গালি দিয়েছে। আমি ইরাজ মাহমুদ বাবু (২০০৯-২০২৫) পর্যন্ত ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছি। এখনো ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত, রামগতি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) অভিযোগ অস্বীকার করে “ঢাকা ভয়েস ” কে বলেন, আমি ঢাকায় আমিন চেয়ারম্যান কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে আমিন চেয়ারম্যান ও তার বউ অসুস্থ তাই গিয়েছি। সোহেল চেয়ারম্যানও অসুস্থ তাই তার সাথে দেখা করেছি,সোহেল চেয়ারম্যান আমাকে কোন অস্ত্র দেয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বাস করেন আমি এবছর সোহেল চেয়ারম্যানের ভোট করিনি।
গণমাধ্যম কর্মীর এক প্রশ্নের জবাবে চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি, নাজিম উদ্দিন মেম্বার (নাজু দালাল) বলেন, সোহেল চেয়ারম্যানের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন “ঢাকা ভয়েস ” কে বলেন, নাজু দালালের ভাইদের সাথে বিএনপি নেতাদের সমঝোতা হয়েছে। বিএনপির রামগতি উপজেলা পর্যায়ের এক নেতা সুপারিশ করেছেন। তাই কোনো মামলা না হওয়ার কারণে থানা থেকে নাজিম উদ্দিন মেম্বার ( নাজু দালাল) কে ছেঁড়ে দিয়েছি।ওসি কবির হোসেন “ঢাকা ভয়েস” কে এমনটি জানিয়েছেন।