ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মার ভাঙনে বিলীন দিঘীরপাড় বাজারের দোকান, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শুরু হওয়া আকস্মিক নদী ভাঙনে মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় অন্তত দুইটি দোকান। তীব্র স্রোত ও পানির চাপের কারণে পাড় সংরক্ষণের জন্য ফেলা জিও ব্যাগ সরে গেলে ভাঙন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের আরও কয়েকটি দোকান ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়, ফলে ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি করে মালামাল সরিয়ে নিতে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “ভাঙনের খবর পাওয়ার পরই পাউবোকে জানানো হয়েছে, সকালে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পানি উন্নয়ন বোর্ডের টঙ্গীবাড়ী পওর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আশিক সারোয়ার বলেন, “আগেও এখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল, এবার আপদকালীনভাবে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

দিঘীরপাড় বাজারটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এবং বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। গত জুলাই মাসেও একদিনে একাধিক দোকান নদীতে ধসে পড়ে। লৌহজং–টঙ্গীবাড়ী নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও স্থানীয়দের দাবি, অগ্রগতি সন্তোষজনক নয় এবং জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে বাজারের বড় একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

পদ্মার ভাঙনে বিলীন দিঘীরপাড় বাজারের দোকান, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় ০৮:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শুরু হওয়া আকস্মিক নদী ভাঙনে মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় অন্তত দুইটি দোকান। তীব্র স্রোত ও পানির চাপের কারণে পাড় সংরক্ষণের জন্য ফেলা জিও ব্যাগ সরে গেলে ভাঙন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের আরও কয়েকটি দোকান ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়, ফলে ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি করে মালামাল সরিয়ে নিতে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “ভাঙনের খবর পাওয়ার পরই পাউবোকে জানানো হয়েছে, সকালে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পানি উন্নয়ন বোর্ডের টঙ্গীবাড়ী পওর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আশিক সারোয়ার বলেন, “আগেও এখানে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল, এবার আপদকালীনভাবে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

দিঘীরপাড় বাজারটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এবং বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। গত জুলাই মাসেও একদিনে একাধিক দোকান নদীতে ধসে পড়ে। লৌহজং–টঙ্গীবাড়ী নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও স্থানীয়দের দাবি, অগ্রগতি সন্তোষজনক নয় এবং জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে বাজারের বড় একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।