ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্থলপথে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সব স্থলপথ দিয়ে কিছু পাটজাত পণ্য ও দড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার।তবে, নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোনো স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না কিছু পণ্য। তবে, নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডিজিএফটি।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত স্থলপথে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে পাটের ব্লিচড এবং আনব্লিচড বোনা কাপড় বা অন্যান্য টেক্সটাইল বাস্ট ফাইবার; সুতা, কর্ডেজ, পাটের দড়ি; পাটের বস্তা এবং পাটের ব্যাগ।

এর আগে ২৭ জুন ভারত বাংলাদেশ থেকে সমস্ত স্থলপথে বেশ কয়েকটি পাটজাত পণ্য এবং বোনা কাপড় আমদানি নিষিদ্ধ করে। তবে, এই পণ্যগুলো কেবল মহারাষ্ট্রের নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়েই আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।

এপ্রিল ও মে মাসেও বাংলাদেশ থেকে আমদানির ওপর একই রকম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। গত ১৭ মে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীর মতো কিছু পণ্য আমদানির ওপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।

এছাড়া এর আগে গত ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, নেপাল এবং ভুটান ছাড়া অন্যান্য দেশে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাও ভারত প্রত্যাহার করে নেয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভারতের ৭টি রাজ্য নিয়ে দেয়া বক্তব্যের পটভূমিতে এই পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করে বিজেপি সরকার। ওই বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেও এসেছিল তীব্র প্রতিক্রিয়া।

চীন সফরে ইংরেজিতে দেয়া বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে ল্যান্ডলকড (স্থলবেষ্টিত) অঞ্চল। সমুদ্রের কাছে পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই তাদের। এই অঞ্চলের জন্য আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। বাণিজ্যের জন্য এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সুতরাং এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণও হতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন জামায়াতের আমির

স্থলপথে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

আপডেট সময় ০৮:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সব স্থলপথ দিয়ে কিছু পাটজাত পণ্য ও দড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার।তবে, নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোনো স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না কিছু পণ্য। তবে, নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডিজিএফটি।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত স্থলপথে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে পাটের ব্লিচড এবং আনব্লিচড বোনা কাপড় বা অন্যান্য টেক্সটাইল বাস্ট ফাইবার; সুতা, কর্ডেজ, পাটের দড়ি; পাটের বস্তা এবং পাটের ব্যাগ।

এর আগে ২৭ জুন ভারত বাংলাদেশ থেকে সমস্ত স্থলপথে বেশ কয়েকটি পাটজাত পণ্য এবং বোনা কাপড় আমদানি নিষিদ্ধ করে। তবে, এই পণ্যগুলো কেবল মহারাষ্ট্রের নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়েই আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।

এপ্রিল ও মে মাসেও বাংলাদেশ থেকে আমদানির ওপর একই রকম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। গত ১৭ মে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীর মতো কিছু পণ্য আমদানির ওপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।

এছাড়া এর আগে গত ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, নেপাল এবং ভুটান ছাড়া অন্যান্য দেশে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাও ভারত প্রত্যাহার করে নেয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভারতের ৭টি রাজ্য নিয়ে দেয়া বক্তব্যের পটভূমিতে এই পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করে বিজেপি সরকার। ওই বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেও এসেছিল তীব্র প্রতিক্রিয়া।

চীন সফরে ইংরেজিতে দেয়া বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে ল্যান্ডলকড (স্থলবেষ্টিত) অঞ্চল। সমুদ্রের কাছে পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই তাদের। এই অঞ্চলের জন্য আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। বাণিজ্যের জন্য এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। সুতরাং এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণও হতে পারে।