ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

নিলামে আরও ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিলামে আরও ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। বিপরীত দিকে চাহিদা কমেছে। ফলে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আজ রবিবার (১০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১১টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। বৈদেশিক মুদ্রা নিলাম কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জানান, বাজারে ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় দর কমতে শুরু করে। এ জন্য রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের আয়ের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কিনেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কাজের অংশ। ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মাঝে-মধ্যে ডলার কেনাবেচা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৮৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। নিলামের কাট অফ প্রাইস ধরা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এই কাট অফ প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ‘‘দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরো কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে, অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে।’’

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

নিলামে আরও ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট সময় ০৯:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। বিপরীত দিকে চাহিদা কমেছে। ফলে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আজ রবিবার (১০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১১টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। বৈদেশিক মুদ্রা নিলাম কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জানান, বাজারে ডলারের চাহিদা কমে যাওয়ায় দর কমতে শুরু করে। এ জন্য রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের আয়ের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কিনেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কাজের অংশ। ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মাঝে-মধ্যে ডলার কেনাবেচা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৮৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। নিলামের কাট অফ প্রাইস ধরা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এই কাট অফ প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ‘‘দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরো কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে, অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে।’’