ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর নিউ মার্কেট থেকে ১১০০ সামুরাই ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে মজুত প্রায় ১১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সামুরাই ছুরি ও চাপাতি, যা সরবরাহ করা হতো কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের কাছে।

শনিবার রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টানা দুই দিন ধরে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়।

তিনি জানায়, “গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে যে ধরনের সামুরাই ছুরি উদ্ধার হচ্ছিল, তার উৎস খুঁজতে আমরা অভিযান চালাই। এসব অস্ত্রের কোনো গৃহস্থালি ব্যবহার নেই। গত কয়েক মাসে এগুলো ব্যবহার করে একাধিক হত্যা, আহত, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—কিছু ব্যবসায়ী এসব অস্ত্র ভাড়া বা বিক্রি করত অপরাধীদের কাছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো যোগসাজশ আছে কিনা, তা গোয়েন্দা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনাবাহিনী ব্যবসায়ী সমাজকে সতর্ক করে জানিয়েছে—বর্তমান পরিস্থিতিতে সামুরাই ছুরি বা ধারালো অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা দেখলে দ্রুত নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে খবর দিতে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ জানায়, “কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য যেকোনোভাবে বন্ধ করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ চাপে থাকায় মালয়েশিয়ার উদ্বেগ

রাজধানীর নিউ মার্কেট থেকে ১১০০ সামুরাই ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে মজুত প্রায় ১১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সামুরাই ছুরি ও চাপাতি, যা সরবরাহ করা হতো কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের কাছে।

শনিবার রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টানা দুই দিন ধরে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়।

তিনি জানায়, “গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে যে ধরনের সামুরাই ছুরি উদ্ধার হচ্ছিল, তার উৎস খুঁজতে আমরা অভিযান চালাই। এসব অস্ত্রের কোনো গৃহস্থালি ব্যবহার নেই। গত কয়েক মাসে এগুলো ব্যবহার করে একাধিক হত্যা, আহত, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—কিছু ব্যবসায়ী এসব অস্ত্র ভাড়া বা বিক্রি করত অপরাধীদের কাছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো যোগসাজশ আছে কিনা, তা গোয়েন্দা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেনাবাহিনী ব্যবসায়ী সমাজকে সতর্ক করে জানিয়েছে—বর্তমান পরিস্থিতিতে সামুরাই ছুরি বা ধারালো অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা দেখলে দ্রুত নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে খবর দিতে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ জানায়, “কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য যেকোনোভাবে বন্ধ করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।”