গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্যতম আসামি স্বাধীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তিনি বলেছেন, ‘চক্রের নারী সদস্য বাদশাহ নামের এক ব্যক্তিকে বিরক্ত করছিলো, তাই বাদশাহ সেই নারীকে আঘাত করে। এ ঘটনার পর চক্রের বাকী সদস্যরা বাদশাহকে ছুড়ি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। বিষয়টি দেখে ভিডিও করছিলো তুহিন। চক্রের সদস্যরা ভিডিও করা দেখে ফেলায় তার ওপর হামলা করে। সিসিটিভি ফুটেজ ও আসামির স্বীকারোক্তি থেকে প্রাথমিকভাবে হত্যার এটাই কারণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও ভালোভাবে বিষয়টি জানা যাবে।
এর আগে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রথমে ৪ জন ও পরে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার ভোরে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, ভবানীপুরের উত্তরা এলাকা থেকে সুমন, হোতাপারা থেকে আলআমিন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে স্বাধীন ও শাহ জালাল এবং মহানগরের চান্না এলাকা থেকে ফয়সাল হাসান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।