ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ জন Logo আ. লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ,এক নারী সদস্য আটক Logo জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি Logo দূর্নীতির অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান Logo “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসে নাট্যতরীর ‘মূকনাটক: জুলাই’ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo জমকালো আয়োজনে জবিতে সমাপ্ত হলো জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ Logo জকসু ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজের দায়সারা উত্তর,প্রতিকী প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদে Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতির অঙ্গীকার সিইসির Logo জাতীয় স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: তারেক রহমান Logo বামপন্থিদের মব সন্ত্রাস ও অসংলগ্ন স্লোগানের প্রতিবাদ জানাল ছাত্রশিবির

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মসূচিকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র মাটি থেকেই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল।

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম খচিত হয়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা। অথচ আজ টিএসসিতে শিবির যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি টানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত করেছে।

আজ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছির বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার বাহিনী ছাত্রসংঘ ও আলবদরের উত্তরসূরী। অতীতে তারা একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুতে ভিপি পদে প্রার্থী করেছিল। এমনকি তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের মদদেই তারা টিএসসিতে এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এবং দেশের আপামর জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই আয়োজনের দায় প্রশাসন, ভিসি ও প্রক্টর কেউই এড়াতে পারেন না।”

নাছির আরও বলেন, “তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ পেয়েছে।

বরং মব এবং গুপ্ত সংগঠনগুলোর প্রতি এক ধরনের নীরব পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ। সবশেষে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি দেওয়ার আগে তিনি কর্মসূচির বিষয়বস্তু যাচাই করে থাকেন। তাই আজকের ঘটনার দায় প্রক্টরের ঘাড়েই বর্তায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ জন

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

আপডেট সময় ১১:২৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মসূচিকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র মাটি থেকেই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল।

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম খচিত হয়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা। অথচ আজ টিএসসিতে শিবির যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি টানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত করেছে।

আজ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছির বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার বাহিনী ছাত্রসংঘ ও আলবদরের উত্তরসূরী। অতীতে তারা একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুতে ভিপি পদে প্রার্থী করেছিল। এমনকি তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের মদদেই তারা টিএসসিতে এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এবং দেশের আপামর জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই আয়োজনের দায় প্রশাসন, ভিসি ও প্রক্টর কেউই এড়াতে পারেন না।”

নাছির আরও বলেন, “তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ পেয়েছে।

বরং মব এবং গুপ্ত সংগঠনগুলোর প্রতি এক ধরনের নীরব পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ। সবশেষে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি দেওয়ার আগে তিনি কর্মসূচির বিষয়বস্তু যাচাই করে থাকেন। তাই আজকের ঘটনার দায় প্রক্টরের ঘাড়েই বর্তায়।