ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চাকসু জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে: চবি উপাচার্য Logo চাকসু নির্বাচন: ২৫০ সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষন হচ্ছে ভোটের পরিস্থিতি Logo চাকসু: আঙুলের অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রদল-শিবিরের Logo চাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলকে জরিমানার খবরটি সঠিক নয়: নির্বাচন কমিশনার Logo পর্যায়ক্রমে ৩ স্তরে গণনা হবে চাকসু নির্বাচনের ভোট Logo চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটারদের লম্বা লাইন Logo মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ Logo চাকসু প্রার্থীকে হেনস্তা করতে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার Logo ছাত্রশিবিরকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের মিথ্যাচারপূর্ণ সংবাদের নিন্দা প্রকাশ Logo রাকসু নির্বাচন জরিপে শীর্ষ তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রশিবির

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মসূচিকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র মাটি থেকেই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল।

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম খচিত হয়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা। অথচ আজ টিএসসিতে শিবির যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি টানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত করেছে।

আজ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছির বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার বাহিনী ছাত্রসংঘ ও আলবদরের উত্তরসূরী। অতীতে তারা একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুতে ভিপি পদে প্রার্থী করেছিল। এমনকি তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের মদদেই তারা টিএসসিতে এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এবং দেশের আপামর জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই আয়োজনের দায় প্রশাসন, ভিসি ও প্রক্টর কেউই এড়াতে পারেন না।”

নাছির আরও বলেন, “তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ পেয়েছে।

বরং মব এবং গুপ্ত সংগঠনগুলোর প্রতি এক ধরনের নীরব পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ। সবশেষে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি দেওয়ার আগে তিনি কর্মসূচির বিষয়বস্তু যাচাই করে থাকেন। তাই আজকের ঘটনার দায় প্রক্টরের ঘাড়েই বর্তায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকসু জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে: চবি উপাচার্য

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

আপডেট সময় ১১:২৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মসূচিকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র মাটি থেকেই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল।

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম খচিত হয়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা। অথচ আজ টিএসসিতে শিবির যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি টানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত করেছে।

আজ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছির বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার বাহিনী ছাত্রসংঘ ও আলবদরের উত্তরসূরী। অতীতে তারা একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুতে ভিপি পদে প্রার্থী করেছিল। এমনকি তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের মদদেই তারা টিএসসিতে এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এবং দেশের আপামর জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই আয়োজনের দায় প্রশাসন, ভিসি ও প্রক্টর কেউই এড়াতে পারেন না।”

নাছির আরও বলেন, “তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ পেয়েছে।

বরং মব এবং গুপ্ত সংগঠনগুলোর প্রতি এক ধরনের নীরব পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ। সবশেষে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি দেওয়ার আগে তিনি কর্মসূচির বিষয়বস্তু যাচাই করে থাকেন। তাই আজকের ঘটনার দায় প্রক্টরের ঘাড়েই বর্তায়।