ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পিনুর মোড়ে মো. বাদশা মিয়া (৫৫) নামের এক খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন পিনুর মোড় থেকে এ সার জব্দ করা হয়।

মো. বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মো. আবু হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়। পরে জব্দ হওয়া সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঘরের মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘যতটুকু জানি, এই সারগুলো ডিলার ননি গোপাল সরকার ও মৃত প্রদীপ সরকারের। তাঁদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতোলা বাজারে এবং আরও একটি গোডাউন রামগঞ্জ ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে কীভাবে এল বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাইবান্ধা জেলা বাফার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ জানান, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। সার বহনকারী ট্রাকের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫।

জানা গেছে, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। এরপর ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫ নম্বর ট্রাকযোগে মো. বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়। উদ্ধার সারগুলো চড়া দামে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছিল বলে গোপন তথ্যে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে যাই। অবৈধভাবে মজুত করা ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় আছে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার ননি গোপাল সরকারের ছেলে রিপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দ করা সার একসঙ্গে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দ করা টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দ করা টিএসপি সার তাঁর ম্যানেজারকে দিয়েছি। এখানে কীভাবে এল, বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার প্রদীপ চন্দ্র সরকারের ম্যানেজার জয়ন্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা মো. বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিল।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরগঞ্জে খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দ

আপডেট সময় ০৮:২৬:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পিনুর মোড়ে মো. বাদশা মিয়া (৫৫) নামের এক খুচরা সার ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসংলগ্ন পিনুর মোড় থেকে এ সার জব্দ করা হয়।

মো. বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মো. আবু হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করা হয়। পরে জব্দ হওয়া সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঘরের মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘যতটুকু জানি, এই সারগুলো ডিলার ননি গোপাল সরকার ও মৃত প্রদীপ সরকারের। তাঁদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতোলা বাজারে এবং আরও একটি গোডাউন রামগঞ্জ ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে কীভাবে এল বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাইবান্ধা জেলা বাফার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ জানান, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। সার বহনকারী ট্রাকের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫।

জানা গেছে, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। এরপর ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫ নম্বর ট্রাকযোগে মো. বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়। উদ্ধার সারগুলো চড়া দামে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছিল বলে গোপন তথ্যে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে যাই। অবৈধভাবে মজুত করা ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় আছে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার ননি গোপাল সরকারের ছেলে রিপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দ করা সার একসঙ্গে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দ করা টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দ করা টিএসপি সার তাঁর ম্যানেজারকে দিয়েছি। এখানে কীভাবে এল, বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবেন।’

এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার প্রদীপ চন্দ্র সরকারের ম্যানেজার জয়ন্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা মো. বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিল।’