ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ Logo বাকসু নিয়ে বিতর্কিত গণভোট আয়োজনের অভিযোগ ববি ছাত্র কাউন্সিলের বিরুদ্ধে Logo ‎বাগেরহাটে আসন কমানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী, করেছে বিক্ষোভ ‎ Logo উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া Logo ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo নওগাঁয় আলু চাষিদের বিক্ষোভ: ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ Logo বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ৪০০ এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা দিল জুড়ী ছাত্রশিবির Logo ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ

বিএনপি কর্মীকে হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত গ্রেপ্তার

বিএনপি কর্মীকে হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিএনপি কর্মী কুদরত আলীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে ছিলেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) একটা ৪১ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে কুষ্টিয়া আদালতে আনা হয়। এরপর দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে হাজিরা করা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে একটা ৫১ মিনিটে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বিতর্কিত ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এসএম তানভীর আরাফাত। কুষ্টিয়া জেলায় আসার পর থেকেই নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি এসব কাণ্ডে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ভুগতে হয় বিভাগীয় শাস্তিও।

দলের লোকজন আমার বাবা কুদরতের সন্ধান করতে থাকি। থানায় গিয়ে আসামী নিশিকান্ত সরকার ওসি তদন্তকে জিজ্ঞাসা করি আমার বাবা কোথায়? বলে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

২৫ জুলাই ভোর বেলায় শুনতে পাই আমার বাবাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। বাবার লাশ থানায় রাখা হয়েছে। এই সংবাদ পেয়ে প্রথমে থানায় যায় এবং সেখানে জানতে পারি লাশ কুষ্টিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে গিয়ে আমার বাবা কুদরত আলীর লাশ দেখতে পাই। বাবা কুদরত আলীর বুকের ডান দিকে ও বাম দিকে দু’টি গুলির চিহ্ন, দুই হাতে, পিঠে, মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই।

আমার বাড়ি থেকে বাবাকে অপহরণ করে গুম করে নির্যাতন করে ও গুলি করে আসামীরা হত্যা করে লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে চলে যায়। লাশ দাফনের পর ২৬ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার বলে যে মামলা করলে তোরও একই পরিনাম হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে এবং পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত কুষ্টিয়া কিলার তানভীর উপাদী পাওয়ায় তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারিনি। ফলে আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন মামলা করতে পারিনি। ০৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন,

দৌলতপুর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে৷ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে। নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে। মামলার বাদী সুজন হোসেন কুষ্টিয়া শহরের মিললাইন এলাকার লালন শাহ সড়কের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ

বিএনপি কর্মীকে হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১০:১০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বিএনপি কর্মী কুদরত আলীকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর বিএনপি কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কুষ্টিয়া কারাগারে ছিলেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) একটা ৪১ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে কুষ্টিয়া আদালতে আনা হয়। এরপর দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে হাজিরা করা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে একটা ৫১ মিনিটে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বিতর্কিত ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এসএম তানভীর আরাফাত। কুষ্টিয়া জেলায় আসার পর থেকেই নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এমনকি এসব কাণ্ডে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ভুগতে হয় বিভাগীয় শাস্তিও।

দলের লোকজন আমার বাবা কুদরতের সন্ধান করতে থাকি। থানায় গিয়ে আসামী নিশিকান্ত সরকার ওসি তদন্তকে জিজ্ঞাসা করি আমার বাবা কোথায়? বলে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

২৫ জুলাই ভোর বেলায় শুনতে পাই আমার বাবাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। বাবার লাশ থানায় রাখা হয়েছে। এই সংবাদ পেয়ে প্রথমে থানায় যায় এবং সেখানে জানতে পারি লাশ কুষ্টিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে গিয়ে আমার বাবা কুদরত আলীর লাশ দেখতে পাই। বাবা কুদরত আলীর বুকের ডান দিকে ও বাম দিকে দু’টি গুলির চিহ্ন, দুই হাতে, পিঠে, মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই।

আমার বাড়ি থেকে বাবাকে অপহরণ করে গুম করে নির্যাতন করে ও গুলি করে আসামীরা হত্যা করে লাশ হাসপাতালের মর্গে রেখে চলে যায়। লাশ দাফনের পর ২৬ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার বলে যে মামলা করলে তোরও একই পরিনাম হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে এবং পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত কুষ্টিয়া কিলার তানভীর উপাদী পাওয়ায় তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারিনি। ফলে আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন মামলা করতে পারিনি। ০৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন,

দৌলতপুর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে৷ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে। নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে। মামলার বাদী সুজন হোসেন কুষ্টিয়া শহরের মিললাইন এলাকার লালন শাহ সড়কের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।