ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জোবায়েদকে পছন্দ করতেন ছাত্রী, প্রেমিক জেনে যাওয়ায় খুন Logo ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের ঢাকা ত্যাগ Logo শান্তিচুক্তিকে উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা Logo ফরিদগঞ্জে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপনকে ঘিরে উত্তেজনা, থানায় অভিযোগ Logo গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মোবাইল ভাঙচুর Logo আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন মরক্কো Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ
অনিয়ম ও দূর্নীতিতে সয়লাব

মনিপুর স্কুলে চলছে নিয়োগ বাণিজ্য

মনিপুর স্কুলে চলছে নিয়োগ বাণিজ্য

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ। চলতি বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে ৪১৩৭ শিক্ষার্থী যা দেশের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩১৮ জন যা ঢাকা বোর্ডের দ্বিতীয়।

দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি ছিল সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের তত্ত্ববধানে। ভর্তি, নিয়োগ, অবকাঠামো নির্মাণ সবই হতো তার ইচ্ছানুযায়ি। ছাত্র-জনতার অভূত্থানের পর কামাল মজুমদারের দখল থেকে মুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভূত্থানের বছর শেষ না হতেই আবার সেই দখলের পথে প্রতিষ্ঠানটি।

নানান অনিয়ম ও বাণিজ্যের অতল গহ্বরে ডুবতে বসেছে দেশের বৃহত্তম এই বিদ্যাপিঠ। বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বিদ্যালয়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাতে বাধ সাধছেন কমিটির অভিভাবক সদস্য স্থানীয় যুবদল নেতা শাকিল মোল্লা। দূর্নীতিতে তিনি কামাল মজুমদার থেকেও একধাপ এগিয়ে। যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও স্বার্থ আদায়ে নানা ফন্দি ফিকির করছেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল কাজে। এর আগের কমিটির উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী সু-কৌশলে তিনি বাগিয়ে নেন। এবার নিজেই তিনি কমিটির সদস্য। তাই কাউকে তোয়াক্কা করছেন না কোনো কাজে।

এবারের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার খাতা পত্র ক্রয়ের দরপত্র আহবান করা হলে ইচ্ছে মতো দাম হাকিয়ে নিজেই দরপত্র লুফে নেন। কোনো প্রকার রেজুলেশন ছাড়াই নিজ ইচ্ছামত নিয়োগ দেন ৫ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক। ফ্যাসিস্ট কামাল মজুমদার এর ঘনিষ্ঠ লোকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে একের পর এক নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন কোনো প্রকার বাছাই প্রক্রিয়া ছাড়াই। অভিযোগ উঠেছে মূল ক্যাম্পাসের ২ জন এমপিও ভুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিয়ে উক্তস্থানে ২ জন খণ্ড কালীন জুনিয়র শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসানো হয়েছে। ইংলিশ ভার্সনে বসিয়েছেন ২ জন বাংলার শিক্ষক। এসব করেছেন সভাপতির অনুমোদন ছাড়াই। এতে ছাত্র – শিক্ষক – অভিভাবকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ।

নিয়ম বহির্ভূত এ সকল কর্মকাণ্ড অনুমোদন না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিকেই সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন যুবদল নেতা শাকিল মোল্লা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাকিল মোল্লা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে মুঠো ফোনে একাধিক কল দেয়া হলেও তারা উভয়ে ফোন রিসিভ করেননি। এসব অনিয়ম, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ‘অভিভাবক ফোরাম’।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জোবায়েদকে পছন্দ করতেন ছাত্রী, প্রেমিক জেনে যাওয়ায় খুন

অনিয়ম ও দূর্নীতিতে সয়লাব

মনিপুর স্কুলে চলছে নিয়োগ বাণিজ্য

আপডেট সময় ০১:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ। চলতি বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে ৪১৩৭ শিক্ষার্থী যা দেশের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩১৮ জন যা ঢাকা বোর্ডের দ্বিতীয়।

দীর্ঘ ১৫ বছর প্রতিষ্ঠানটি ছিল সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের তত্ত্ববধানে। ভর্তি, নিয়োগ, অবকাঠামো নির্মাণ সবই হতো তার ইচ্ছানুযায়ি। ছাত্র-জনতার অভূত্থানের পর কামাল মজুমদারের দখল থেকে মুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভূত্থানের বছর শেষ না হতেই আবার সেই দখলের পথে প্রতিষ্ঠানটি।

নানান অনিয়ম ও বাণিজ্যের অতল গহ্বরে ডুবতে বসেছে দেশের বৃহত্তম এই বিদ্যাপিঠ। বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বিদ্যালয়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাতে বাধ সাধছেন কমিটির অভিভাবক সদস্য স্থানীয় যুবদল নেতা শাকিল মোল্লা। দূর্নীতিতে তিনি কামাল মজুমদার থেকেও একধাপ এগিয়ে। যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও স্বার্থ আদায়ে নানা ফন্দি ফিকির করছেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল কাজে। এর আগের কমিটির উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী সু-কৌশলে তিনি বাগিয়ে নেন। এবার নিজেই তিনি কমিটির সদস্য। তাই কাউকে তোয়াক্কা করছেন না কোনো কাজে।

এবারের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার খাতা পত্র ক্রয়ের দরপত্র আহবান করা হলে ইচ্ছে মতো দাম হাকিয়ে নিজেই দরপত্র লুফে নেন। কোনো প্রকার রেজুলেশন ছাড়াই নিজ ইচ্ছামত নিয়োগ দেন ৫ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক। ফ্যাসিস্ট কামাল মজুমদার এর ঘনিষ্ঠ লোকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে একের পর এক নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন কোনো প্রকার বাছাই প্রক্রিয়া ছাড়াই। অভিযোগ উঠেছে মূল ক্যাম্পাসের ২ জন এমপিও ভুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষককে সরিয়ে দিয়ে উক্তস্থানে ২ জন খণ্ড কালীন জুনিয়র শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসানো হয়েছে। ইংলিশ ভার্সনে বসিয়েছেন ২ জন বাংলার শিক্ষক। এসব করেছেন সভাপতির অনুমোদন ছাড়াই। এতে ছাত্র – শিক্ষক – অভিভাবকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ।

নিয়ম বহির্ভূত এ সকল কর্মকাণ্ড অনুমোদন না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিকেই সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন যুবদল নেতা শাকিল মোল্লা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাকিল মোল্লা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে মুঠো ফোনে একাধিক কল দেয়া হলেও তারা উভয়ে ফোন রিসিভ করেননি। এসব অনিয়ম, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ‘অভিভাবক ফোরাম’।