ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নামজারি খারিজ করতে পাঁচ স্তরে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা Logo অনেক শাসন দেখেছি এগুলো শাসন ছিল না শোষণ ছিল-ডা. শফিকুর রহমান Logo নবীনগরে র‍্যাবের অভিযান: আলিয়াবাদ গোল চত্বর থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার Logo গণতন্ত্রপন্থী সহযোদ্ধাদের শান্ত-সংহত থাকতে বললেন তারেক রহমান Logo সড়কের পাশে পড়ে ছিল অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ Logo খুব সহজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো নিউজিল্যান্ড Logo বিএনপিকে বিব্রত করার‘অযৌক্তিক’সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার Logo ‘ওরাও তো আমার সন্তান, ওদের রেখে কী করে আসি?’ Logo রাজনৈতিক দল নিবন্ধন: ১৫ দিনের মধ্যে শর্তপূরণ না করলে আবেদন বাতিল Logo ৪৮তম বিসিএসে ৩ জন বদলি পরীক্ষার্থী শনাক্ত, ব্যবস্থা নিল পিএসসি

সহজ ম্যাচ কঠিন করে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা

সহজ ম্যাচ কঠিন করে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা

রান তাড়ায় নেমে ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের জমা করা ১৩৩ রান তখন পাহাড়। টি-২০তে পাকিস্তানকে সর্বনিম্ন (৭৪) রানে অলআউটের সম্ভাবনা। সেখান থেকে একজন ফাহিম আশরাফ ম্যাচটা বেরই করে নিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ওই শঙ্কা কাটিয়ে ৮ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়ে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু করা ম্যাচে একাদশে দুই পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমকে বিশ্রাম দিয়ে ওপেনিংয়ে খেলানো হয় নাঈম শেখকে। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে জাকের আলী না থাকায় চারে ব্যাটিং করে ত্রিশ ছাড়ানো রান করেছিলেন তিনি। এবার নিয়মিত ব্যাটিং অর্ডার ওপেনিংয়ে ফিরে ব্যর্থ হন (৩)।

রান পাননি অধিনায়ক লিটন দাসও (৮)। পরেই শূন্য করে রান আউট হন তাওহীদ হৃদয়। ২৫ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে ভরসা দিতে পারেননি ওপেনার ইমনও। তিনি ফিরে যান ১৪ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করে। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন জাকের আলী ও শেখ মেহেদি। তারা ৫৩ রানের জুটি গড়েন।

মেহেদি ফিরে যান ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে দুটি করে চার ও ছক্কা আসে। পরেই শামীম পাটোয়ারি (১) প্লেড অন হলে ভালো রানের আশায় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। তবে জাকের কিছুটা ওই ক্ষতি পূরণ করে দেন। তিনি ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছক্কা ছিল পাঁচটি। চার মেরেছেন একটি। এছাড়া তানজিম ৭ ও রিশাদ হোসেন ৮ রান যোগ করেন।

জবাবে নেমে পাকিস্তান প্রথম ওভারে ওপেনার সাঈম আইয়ূবকে হারায়। তিনি ১ রান যোগ করে রান আউট হন। দ্বিতীয় ওভারে পরপর ফখর জামান (৮) ও মোহাম্মদ হারিসকে (০) তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। এরপর পঞ্চম ওভারে পরপর হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজকে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে পাঠান তানজিম সাকিব। ওই ধাক্কায় সামলে ওঠার আগে ৪৭ রানে ৭ উইকেট হয়ে যায় পাকিস্তান। ব্যর্থ হন অধিনায়ক সালমান আঘা (৮) ও অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ (১৩)।

সেখান থেকে একার লড়াই চালিয়ে যান পাকিস্তানের পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। তিনি প্রথমে পেসার আব্বাস আফ্রিদিকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন। আব্বাস ১৩ বলে ১৯ রান যোগ করেন। ফাহিম ১৯তম ওভারের শেষ বলে ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে রিশাদের বলে বোল্ড হন। তার ব্যাট থেকে চারটি করে চার ও ছক্কা আসে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। প্রথম বলে মুস্তাফিজ চার খেয়ে ভক্তদের মনে ভয় ধরান। পরের বলে উইকেট নিয়ে জয় এনে দেন তিনি। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাকের।

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল। তাসকিন আহমেদের জায়গায় একাদশে ঢুকে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পেসার তানজিম ও স্পিনার শেখ মেহেদি ৪ ওভারে যথাক্রমে ২৩ ও ২৫ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজ ৩.২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। একটি উইকেট পেলেও লেগ স্পিনার রিশাদের অফ ডে গেছে। তিনি ৪ ওভারে ৪২ রান খরচা করেছেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নামজারি খারিজ করতে পাঁচ স্তরে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা

সহজ ম্যাচ কঠিন করে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা

আপডেট সময় ১০:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

রান তাড়ায় নেমে ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের জমা করা ১৩৩ রান তখন পাহাড়। টি-২০তে পাকিস্তানকে সর্বনিম্ন (৭৪) রানে অলআউটের সম্ভাবনা। সেখান থেকে একজন ফাহিম আশরাফ ম্যাচটা বেরই করে নিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ওই শঙ্কা কাটিয়ে ৮ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়ে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু করা ম্যাচে একাদশে দুই পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমকে বিশ্রাম দিয়ে ওপেনিংয়ে খেলানো হয় নাঈম শেখকে। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে জাকের আলী না থাকায় চারে ব্যাটিং করে ত্রিশ ছাড়ানো রান করেছিলেন তিনি। এবার নিয়মিত ব্যাটিং অর্ডার ওপেনিংয়ে ফিরে ব্যর্থ হন (৩)।

রান পাননি অধিনায়ক লিটন দাসও (৮)। পরেই শূন্য করে রান আউট হন তাওহীদ হৃদয়। ২৫ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে ভরসা দিতে পারেননি ওপেনার ইমনও। তিনি ফিরে যান ১৪ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করে। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন জাকের আলী ও শেখ মেহেদি। তারা ৫৩ রানের জুটি গড়েন।

মেহেদি ফিরে যান ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে। তার ব্যাট থেকে দুটি করে চার ও ছক্কা আসে। পরেই শামীম পাটোয়ারি (১) প্লেড অন হলে ভালো রানের আশায় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। তবে জাকের কিছুটা ওই ক্ষতি পূরণ করে দেন। তিনি ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছক্কা ছিল পাঁচটি। চার মেরেছেন একটি। এছাড়া তানজিম ৭ ও রিশাদ হোসেন ৮ রান যোগ করেন।

জবাবে নেমে পাকিস্তান প্রথম ওভারে ওপেনার সাঈম আইয়ূবকে হারায়। তিনি ১ রান যোগ করে রান আউট হন। দ্বিতীয় ওভারে পরপর ফখর জামান (৮) ও মোহাম্মদ হারিসকে (০) তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। এরপর পঞ্চম ওভারে পরপর হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজকে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে পাঠান তানজিম সাকিব। ওই ধাক্কায় সামলে ওঠার আগে ৪৭ রানে ৭ উইকেট হয়ে যায় পাকিস্তান। ব্যর্থ হন অধিনায়ক সালমান আঘা (৮) ও অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ (১৩)।

সেখান থেকে একার লড়াই চালিয়ে যান পাকিস্তানের পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। তিনি প্রথমে পেসার আব্বাস আফ্রিদিকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন। আব্বাস ১৩ বলে ১৯ রান যোগ করেন। ফাহিম ১৯তম ওভারের শেষ বলে ৩২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে রিশাদের বলে বোল্ড হন। তার ব্যাট থেকে চারটি করে চার ও ছক্কা আসে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। প্রথম বলে মুস্তাফিজ চার খেয়ে ভক্তদের মনে ভয় ধরান। পরের বলে উইকেট নিয়ে জয় এনে দেন তিনি। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাকের।

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল। তাসকিন আহমেদের জায়গায় একাদশে ঢুকে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পেসার তানজিম ও স্পিনার শেখ মেহেদি ৪ ওভারে যথাক্রমে ২৩ ও ২৫ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজ ৩.২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। একটি উইকেট পেলেও লেগ স্পিনার রিশাদের অফ ডে গেছে। তিনি ৪ ওভারে ৪২ রান খরচা করেছেন।