ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের

ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা

ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খারুয়ালি গ্রামে রোববার(১৩ জুলাই) রাতে একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের দেবর নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

নিহতরা হলেন – ময়না বেগম (২৫), তার মেয়ে রাইসা বেগম (৭) এবং ছোট ছেলে নিরব (২)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম স্থানীয় ফাইয়ুম মিয়ার বাসায় ভাড়া ওঠেন। রফিকুল ভালুকার কাঠালী এলাকায় একটি মিলে কাজ করতেন, এবং নজরুল পেশায় অটোরিকশাচালক।

ঘটনার দিন রোববার রাত আটটার দিকে রফিকুল কর্মস্থলে যান। পরদিন সকালে বাসায় ফিরে এসে দেখেন বাসার বারান্দার গেটে তালা লাগানো। ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে তিনি বাড়িওয়ালাকে ডেকে আনেন। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে খাটের ওপর স্ত্রীর ও দুই সন্তানের জবাই করা লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা দা এবং চাদর জব্দ করে।

তবে ঘটনার পর থেকেই নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন, যার নাম এখন তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে।

স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ বলছে, ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহ না অন্য কোনো কারণ রয়েছে—তা তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।

নিহতদের স্বামী রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনেরবাজার গ্রামের সন্তানু মিয়ার ছেলে।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। পলাতক নজরুলকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।”

স্থানীয়দের মাঝে এখনো ঘটনার রেশ, আতঙ্ক ও শোক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত দোষীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা

আপডেট সময় ০৭:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খারুয়ালি গ্রামে রোববার(১৩ জুলাই) রাতে একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের দেবর নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

নিহতরা হলেন – ময়না বেগম (২৫), তার মেয়ে রাইসা বেগম (৭) এবং ছোট ছেলে নিরব (২)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম স্থানীয় ফাইয়ুম মিয়ার বাসায় ভাড়া ওঠেন। রফিকুল ভালুকার কাঠালী এলাকায় একটি মিলে কাজ করতেন, এবং নজরুল পেশায় অটোরিকশাচালক।

ঘটনার দিন রোববার রাত আটটার দিকে রফিকুল কর্মস্থলে যান। পরদিন সকালে বাসায় ফিরে এসে দেখেন বাসার বারান্দার গেটে তালা লাগানো। ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে তিনি বাড়িওয়ালাকে ডেকে আনেন। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে খাটের ওপর স্ত্রীর ও দুই সন্তানের জবাই করা লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা দা এবং চাদর জব্দ করে।

তবে ঘটনার পর থেকেই নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন, যার নাম এখন তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে।

স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ বলছে, ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহ না অন্য কোনো কারণ রয়েছে—তা তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।

নিহতদের স্বামী রফিকুল ইসলাম নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনেরবাজার গ্রামের সন্তানু মিয়ার ছেলে।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। পলাতক নজরুলকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।”

স্থানীয়দের মাঝে এখনো ঘটনার রেশ, আতঙ্ক ও শোক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত দোষীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।