রাজধানীর সেতু ভবন এলাকায় সিএনজি চালকদের চলমান ধর্মঘটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রতিবাদ করার ফলে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী মু. খালিদ সাইফুল্লাহ’র ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কয়েকজন চালক তাকে ঘিরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খালিদ সাইফুল্লাহ শান্তভাবে জানতে চাচ্ছিলেন কেন রোগীবাহী ও জরুরি যানবাহনগুলোকেও চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার এই প্রশ্নের পরপরই উপস্থিত কয়েকজন উত্তেজিত চালক তাকে মারধর করে। পরে সাধারণ জনতার সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পান।
খালিদ সাইফুল্লাহ “ঢাকা ভয়েসকে বলেন, “আমি কেবল জানতে চেয়েছিলাম কেন এমন অমানবিকভাবে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। তাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা করে। এখন উল্টো তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তা’মীরুল মিল্লাতসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোনো গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হতে পারে না। একজন শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলেই যদি হামলার শিকার হয়, তবে দেশে প্রতিবাদী মানুষ কীভাবে গড়ে উঠবে?”
তারা আরও অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির প্রচার চালানো হচ্ছে, যা ভিন্নমতের কণ্ঠরোধের একটি অপচেষ্টা।
উল্লেখ্য, ঘটনার সময় কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ার একটি ভিডিও ফুটেজেও শিক্ষার্থীকে শান্তভাবে প্রশ্ন করতে দেখা যায়। যা থেকে হামলার প্রেক্ষাপট ও সত্যতা অনেকাংশে স্পষ্ট হয়।
তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল হাসান ইব্রাহীম জানান, একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন দেশে নাগরিকের প্রতিবাদের অধিকার রক্ষিত থাকা জরুরি। জনস্বার্থে ধর্মঘট কিংবা আন্দোলন হতে পারে, তবে তা যেন জনদুর্ভোগ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন না করে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এবং হামলা ও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।