ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে সৎ মায়ে হতে মেয়ে খুন- ঘাতক মা পলাতক

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার বস্তায় তুলে বালতিতে ভরে পালিয়ে গিয়েছে সৎ মা।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় রাতে।

নিহত শিশু হলেন,কুটির চর গ্রামের মো. হারুন অর রশীদ মেয়ে হাজেরা খাতুন(৭)।শিশুটি কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত হাজেরার বাবা মো. হারুন অর রশীদ একজন মাদরাসা শিক্ষক। প্রায় ১০ বছর আগে হাজেরার মা দোলনা খাতুন অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। এরপর হাজেরা কিছুদিন মায়ের কাছে থাকেন। এরপর একটু বড় হওয়ার পরে বাবার কাছেই থেকে বড় হচ্ছিল। পরে হারুন অর রশীদ মোছা. রুবি খাতুন নামে এক নারীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এই ঘরে তার আরও দুটি জমজ শিশু রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিনের মতো হাজেরা স্কুল শেষে বাড়িতে ফিরে আসে এবং সরাসরি তার সৎ মায়ের কাছে যায়। এরপর থেকেই তাকে আর দেখা যায়নি।

কুটিরচর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম বলেছেন, ‘শুনেছি মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি এসেই ওই সৎ মায়ের কাছে গিয়েছিল। এরপর সৎ মা হাজেরাকে হত্যা করে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো খোঁজ না মেলায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরে ঘরের ভেতরে খোঁজ নিয়ে একটি বস্তার মধ্যে হাজেরার মরদেহ পাওয়া যায়।

শিশুটির ফুপু মোছা. হাসি খাতুন বলেন, ‘জানি না এই নিষ্পাপ শিশুটি কী চেয়েছিল, যার জন্য তাকে খুন করতে হলো। ওকে মেরে ফেলে চলে গেল! আমাদের যদি জানাতো, আমরা ওকে মাদরাসায় দিয়ে দিতাম। আমরা এর বিচার চাই।’

দাদী মনোয়ারা খাতুনও ক্ষোভ ও কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার নাতনির এই নির্মম হত্যার বিচার চাই। এমন অপরাধ মাফ করা যায় না।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম জানায়, ‘আমরা শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি বালতির মধ্যে পেয়েছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, কেউ বলছে বালিশচাপা দিয়েছে, কেউ বলছে গলা টিপে হত্যা করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’পববর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের

সিরাজগঞ্জে সৎ মায়ে হতে মেয়ে খুন- ঘাতক মা পলাতক

আপডেট সময় ১১:২০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার বস্তায় তুলে বালতিতে ভরে পালিয়ে গিয়েছে সৎ মা।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় রাতে।

নিহত শিশু হলেন,কুটির চর গ্রামের মো. হারুন অর রশীদ মেয়ে হাজেরা খাতুন(৭)।শিশুটি কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত হাজেরার বাবা মো. হারুন অর রশীদ একজন মাদরাসা শিক্ষক। প্রায় ১০ বছর আগে হাজেরার মা দোলনা খাতুন অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। এরপর হাজেরা কিছুদিন মায়ের কাছে থাকেন। এরপর একটু বড় হওয়ার পরে বাবার কাছেই থেকে বড় হচ্ছিল। পরে হারুন অর রশীদ মোছা. রুবি খাতুন নামে এক নারীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এই ঘরে তার আরও দুটি জমজ শিশু রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিনের মতো হাজেরা স্কুল শেষে বাড়িতে ফিরে আসে এবং সরাসরি তার সৎ মায়ের কাছে যায়। এরপর থেকেই তাকে আর দেখা যায়নি।

কুটিরচর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম বলেছেন, ‘শুনেছি মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি এসেই ওই সৎ মায়ের কাছে গিয়েছিল। এরপর সৎ মা হাজেরাকে হত্যা করে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো খোঁজ না মেলায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরে ঘরের ভেতরে খোঁজ নিয়ে একটি বস্তার মধ্যে হাজেরার মরদেহ পাওয়া যায়।

শিশুটির ফুপু মোছা. হাসি খাতুন বলেন, ‘জানি না এই নিষ্পাপ শিশুটি কী চেয়েছিল, যার জন্য তাকে খুন করতে হলো। ওকে মেরে ফেলে চলে গেল! আমাদের যদি জানাতো, আমরা ওকে মাদরাসায় দিয়ে দিতাম। আমরা এর বিচার চাই।’

দাদী মনোয়ারা খাতুনও ক্ষোভ ও কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার নাতনির এই নির্মম হত্যার বিচার চাই। এমন অপরাধ মাফ করা যায় না।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম জানায়, ‘আমরা শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি বালতির মধ্যে পেয়েছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, কেউ বলছে বালিশচাপা দিয়েছে, কেউ বলছে গলা টিপে হত্যা করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’পববর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে।