ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা শিক্ষকরা হলেন- আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন পদত্যাগ করেছেন।

আজ রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেই তো বিচারপ্রার্থী, আমি কীভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই সুতরাং তদন্ত কমিটিতে আমার থাকা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এখন আমি ও আমার ভুক্তভোগী শিক্ষকের হয়ে কথা বলতে পারছি।’

ওই শিক্ষক বলেন, আমার সামনে যে ঘটনা ঘটেছে আমি নিজেই এটার বিচার চাই। কোষাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, এ ঘটনায় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রইছ উদদীন পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিনকে স্থলাভিষিক্ত করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা। একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকবেন ট্রাম্প, ভেন্যুতে কড়া নিরাপত্তা

জবির দুই শিক্ষককে ছাত্রদলের মারধর, তদন্ত কমিটি থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ

আপডেট সময় ০২:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা শিক্ষকরা হলেন- আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন পদত্যাগ করেছেন।

আজ রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেই তো বিচারপ্রার্থী, আমি কীভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই সুতরাং তদন্ত কমিটিতে আমার থাকা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এখন আমি ও আমার ভুক্তভোগী শিক্ষকের হয়ে কথা বলতে পারছি।’

ওই শিক্ষক বলেন, আমার সামনে যে ঘটনা ঘটেছে আমি নিজেই এটার বিচার চাই। কোষাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, এ ঘটনায় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রইছ উদদীন পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিনকে স্থলাভিষিক্ত করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা। একইসঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর শুরু করে তারা।